বর্ষা, শরত, হেমন্ত কাল অতিবাহিত হলেও ধামরাইয়ে পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় তিনটি গ্রামের সহস্রাধিক কৃষকের শত শত হেক্টর কৃষি জমি এখনো পানির নিচে। জমিতে পানি আটকে থাকায় সরিষা ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত স্থানীয় কৃষকরা।
ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের ডাউটিয়া জয়পুরা এবং গাওয়াইল গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায় শত শত হেক্টর কৃষিজমির পানি বর্ষার শেষে কয়েক বছর আগেও অতিসহজেই নিষ্কাশন হতো। ওই সময় এসব জমিতে ধান পাট সরিষা থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের ফসলের চাষ করা হতো বলে জানান ডাউটিয়া গ্রামের প্রায় ৭০ বছর বয়সের কৃষক মিনহাজ উদ্দিন।
সরেজমিনে কথা হয়, সোমভাগ ইউনিয়ের ৭নং ওয়ার্ডর নবনির্বাচিত সদস্য আব্দুল মালেক ও ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম এবং দক্ষিণ জয়পুরা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. খোয়াজ উদ্দিনের সাথে। তারা বলেন, মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে জমির মালিকরা কলকারখানার নামে তাদের খেয়াল খুশিমতো অপিরিকল্পিতভাবে মাটি ভরাট করে পানির গতিপথ বন্ধ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে জমির মালিকদের বিরুদ্ধে। শুধু কি তাই পানির গতিপথে বাধ দিয়ে মাছ চাষও করছে অনেকেই।
শত শত হেক্টর কৃষি জমির পানিবদ্ধতা নিরশনের ব্যবস্থা করলে হাজারো টন সরিষা ও ধান উৎপাদ সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
পানিবদ্ধতা প্রসঙ্গে সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক আওলাদ হোসেন বলেন, স্থানীয় কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি পানি নিষ্কাশনের। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার জন্য আমারও দাবি।
উপজেলা কৃষি অফিসার আরিফুল হাসান বলেন, ভুক্তভোগী কৃষকরা ইউএনও মহোদয়ের বরাবর আবেদন করলে পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন