শীত ঋতুর প্রথম মাস পৌষ পড়েছে দ্বিতীয় সপ্তাহে। সর্ব-উত্তর জনপদের পঞ্চগড় জেলা ছাড়া আপাতত কোথাও শৈত্যপ্রবাহ নেই। দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয়বাষ্প ও মেঘের কারণে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকের হিমালয়ান হিমেল হাওয়া গত কয়েকদিনে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। এরফলে শীতের জোর আপাতত কম। দেশের দুয়েক জায়গায় বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
তবে মেঘ-বৃষ্টির আবহ ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে। আবহাওয়ায় শীতকালের স্বাভাবিক শুষ্কতা ফিরেছে। রাত থেকে সকাল অবধি কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে মাঠ-ঘাট, গ্রাম-জনপদ, সড়ক-মহাসড়ক, শহরতলী, নদ-নদী অববাহিকা। কুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শ্রীমঙ্গলে এক মিলিমিটার, সিলেটসহ দুয়েক জায়গায় বিক্ষিপ্ত হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই মেঘ-বৃষ্টির আবহ পুরোপুরি কেটে গেলে শীত আবারো জেঁকে বসতে পারে।
গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ৮.৭ ডিগ্রি সে.। ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ২৫.৩ ও সর্বনিম্ন ১৫.১, চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ২৫.৯ ও সর্বনিম্ন ১৪.৭ ডিগ্রি সে.।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবদুল মান্নান জানান, সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
এদিকে উপ-মহাদেশীয় (শীতল) উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন