খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার চেঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন পূজগাঙ খালের ভাঙনে ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। টিনের ছাউনিতে নির্মিত ইউনিয়ন পরিষদের পাকা ভবনটির একাংশের মাটি ইতোমধ্যে খালের ভাঙনে ধসে গেছে। ভবনের বাকি অংশের দেয়ালে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জানা যায়, আশির দশকে পানছড়ি-দুদকছড়া সড়কের পাশে ৬০ শতক জমির ওপর নির্মিত হয়েছিল চেঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি। ভবনটি ঘেঁষা পূজগাঙ খালে প্রতিবছর ভাঙন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে বর্তমানে ভাঙনের কবলে পড়েছে চার দশক পুরোনো এ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি। তবে দ্রæত ব্যবস্থা না নিলে ভবনটি খালের গর্ভে বিলীন হতে পারে বলে মনে করছেন চেঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।
ইউনিয়ন পরিষদের সাথেই ইউনিয়ন কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক ও পুজগাং বাজার। খালের পাড়ে বাঁধ দেয়া না হলে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনটি খালে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় নতুন একটি ভবন নির্মাণ করে দেয়ার পাশাপাশি খালের পাড় রক্ষায় একটি বাঁধ নির্মাণ করে দিলে এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ লাগব হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
চেঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সুশিলা চাকমা জানান, গত কয়েক বছর ধরে পূজগাঙ খাল ঘেষা চেঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ক্রমশ ভেঙে যাচ্ছে। আমাদের ভাঙন আতঙ্ক নিয়ে অফিসে আসতে হয়। দ্রæত এ বিষয়টি আমলে নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।
চেঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান কালা চাঁদ চাকমা বলেন, গত কয়েক বছরে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পূর্বাংশ ভেঙে পড়ছে। এমতাবস্থায় ভাঙা ও পুরাতন ভবনেই ঝুঁকি নিয়ে অফিসের কার্যক্রম চালাচ্ছি। আমাদের ভ‚মি সংক্রান্ত কিছু ঝামেলা আছে। আশা করি এসব সমস্যা অচিরেই মিটে যাবে। তাছাড়া নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদন করেছি।
এ বিষয়ে পানছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী অরুন কুমার দাশ বলেন, জমি সংক্রান্ত কোন ঝামেলা না থাকলে অচিরেই নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হতে পারে।
পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া আফরোজ বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে ভবনটি দেখে আসছি। ভ‚মির দলিল সংক্রান্ত কিছু ঝামেলা আছে। বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন