আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেশবপুরে নির্বাচনী মাঠ উপ্তত্ত হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মারপিট, বাড়িতে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। এনিয়ে গতকাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসারদের কাছে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে।
পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেন মুকুল (আনারস প্রতীক) উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগে বলেন, তার প্রতিদ্ব›দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. জসিম উদ্দীন ও তার পক্ষের সমর্থক টিটো, ইমরান হোসেন, রাজু আহমেদ, মাসুম দাইসহ ১০/১২ জন গত ২২ ডিসেম্বর রাতে নির্বাচন পরিচালনা ও প্রচার কাজে বাধা সৃষ্টি, মারপিট করে আমার সমর্থক মাসুদুজ্জামান, জাহিদ হাসান মিন্টু, আবু মুছা, শরিফুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলামকে আহত করেছে। এছাড়া আমার সমর্থক সেলিমের বাড়ি ভাঙচুর ও শহিদুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। বিকেলে আমার প্রচার গাড়ির চালক রাশিদুল ইসলামকে বেধড়ক মারপিট করে একটি মাইক সেট, ২টি হর্ণ, ২টি ব্যাটারি ও মাইকসেটের ভেতর থাকা একটি মেমোরী কার্ড নিয়ে গেছে জসিম উদ্দীনের সমর্থকরা।
একই দিন রাতে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ভালুকঘর বাজারে স্বতন্ত্রপ্রার্থী উত্তম ঘোষের (আনারস) সমর্থকদের মারপিট করেছে নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা। ২২ ডিসেম্বর রাতে মঙ্গলকোট ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল কাদের বিশ্বাসের সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেনের আনারস প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে। মনোয়ার হোসেন গতকাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার বজলুর রশিদ বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্ব স্ব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয়েছে এবং সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নে কয়েক জন প্রার্থীর কর্মী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করায় তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন