আগামী ৫ জানুয়ারি কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকাপ্রার্থী আব্দুল কাদের বিশ্বাস ও তার বেপরোয়া সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাÐের ঘটনার অভিযোগ এনে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গত শনিবার বিকেলে কেশবপুর প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোয়ার হোসেন বলেন, আ.লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যানপ্রার্থী আব্দুল কাদের বিশ্বাসের কর্মীরা আমার আনারস প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছে। গত শুক্রবার রাতে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন আমার আরও একটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। এছাড়া আনারস প্রতীকের
কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। এমনকি তারা পাথরা গ্রামের ঋষি স¤প্রদায়ের মানুষদেরকে শাসিয়ে গেছে। তিনি দ্রæত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা পরিবেশ ফেরাতে চেষ্টা চালালেও প্রার্থীর প্রত্যক্ষ ইন্দনে ও ক্যাডার মঙ্গলকোট গ্রামের
কামরুজ্জামান মিন্টু, বসুন্দিয়া গ্রামের পিন্টু গাজী, মিন্টু গাজী, কনর্দপপুর গ্রামের সাঈদুল ইসলাম ও বড়েঙ্গা গ্রামের সাত্তার দাই এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। যার কারনে নির্বাচনে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। ভোটাররা ভয়ে রয়েছে।
এ ব্যাপারে মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল কাদের বিশ্বাস বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার হোসেন তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন।
অপর দিকে উপজেলার ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিসুর রহমান গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইউনিয়ন জুড়ে তান্ডব চালিয়েছে। আনিসুর রহমানের ভাড়াটিয়া বাহিনী গভীর রাতে ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের গোপালপুর শেখপাড়ার শেখ জাফর হোসেন (তোতার) বাড়ি ঘর ভাঙচুর-মারপিটসহ হুমকি দিয়েছে মোটরসাইকেল মার্কার কর্মীরা- বলে জানান শেখ জাফর হোসেন। তবে প্রার্থী দাবি করেন এটা তার কর্মীদের কাজ নয়, তিনি মিথ্যা বলেছে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য। রাত ১০টার পর ত্রিমোহিনী বাজারে ভাড়াটিয়া বাহিনী হামলা চালায়। এতে পাঁচ জন আহত হয়ে কেশবপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতরা হলেন চাদড়া গ্রামের সেলিম (৩০), আব্দুল আলিম (৩৫), রফিকুল ইসলাম (২৮) আব্দুস সালাম (৪০) ও মির্জানগর গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩২), এসময় সন্ত্রাসী হামলায় প্রতিপক্ষের বাড়ীঘর ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়েছে। সন্ত্রাসীরা চলে গেলে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছায়। ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী শেখ অহিদুজ্জামান মিন্টু জানান, এ ঘটনায় থনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ বোরহান উদ্দিন বলেন, গত শনিবার রাতের সহিংষতার ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার বজলুর রশিদ বলেন, গতকাল রোববার বিকাল পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন