গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে এক ওয়ার্ড আ.লীগ নেতা শহিদুলের তরুনীর সাথে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল নিয়ে তোলপাড় চলছে গোবিন্দপুর নামক ওই ইউনিয়নে। গত কয়েকদিনে ফেসবুক ইমো ও মেসেঞ্জারের মাধ্যমে এলাকার আমজনতার কাছে পৌঁছে যাওয়ায় মুখরোচক আলাপচারিতার বিষয়টি নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন এলাকার সুধি ও সচেতন মহল। শহিদুল শেখ দাসেরহাট গ্রামের মৃত আওয়াল শেখের ছেলে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসি ভিডিও’র বরাত দিয়ে জানান, এক তরুনীর সঙ্গে একটি কক্ষে শহিদুলের অবৈধ মেলামেশার সময় গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে আপত্তিকর ভিডিওটি ধারণ করে ফেলে। এবং তা নেট দুনিয়ায় ভইরাল করে দেয়। পরবর্তীতে তা এলাকার অলিতে গলিতেসহ পুরো উপজেলার মানুষের দৃষ্টিতে চলে আসে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে চলতে থাকে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। আলোচনায় ওঠে আসে শহিদুলের পূর্বের বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ নারী কেলেংকারীর বিষয়। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাকে দল থেকে বহিষ্কারসহ তার প্রতি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
এ বিষয়ে মুকসুদপুর উপজেলা আ.লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক হায়দার হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, শহিদুল নামের ওয়ার্ড আ.লীগের এ নেতাকে আমি ঠিকমত চিনি না। তারপরও বলতে চাই- কেউ কোন অন্যায় বা আপত্তিকর কোন ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে তার দেশে প্রচলিত আইন রয়েছে। তারাই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তার এ দায় আ.লীগ নেবে না। কারণ আমি খবর নিয়ে জেনেছি এ ঘটনাটি ২০১৯ সালের একটি ঘটনা। তখন তিনি আওয়ামী রাজনীতিতে প্রবেশ করেননি। বর্তমানে কোন ব্যক্তি তার স্বার্থ হাসিলের জন্য একজন ওয়ার্ড আ.লীগ নেতার বিষয় নিয়ে জল ঘোলা করার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে মুকসুদপুর থানার ওসি আবু বক্কর মিয়া বলেন, বিষয়টি আপনাদের কাছ থেকেই শুনেছি। আপনার আগেও অন্য সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে এলাকার সচেতন মহলের দাবি কুরুচিপূর্ণ বিষয়টির এ আলোচনা বন্ধ করে প্রশাসনের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা খুবই জরুরি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন