দুই বছরেও কুমিল্লার সুপরিচিত চিকিৎসক ডা. লিযাকত আলী খানের দ্বিতীয় পুত্র শাহাদাত আলী খান সাবাত হত্যাকান্ডের ক্লু ও হত্যাকারীদের সনাক্ত করতে পারেনি তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লা।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নিহত সাবাতের পরিবারের পক্ষ থেকে কুমিল্লা নগরীর বিষ্ণুপুর এলাকায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে পুত্র হত্যার ক্লু উদঘাটন ও আসামিদের শনাক্ত করে দ্রুত চার্জশিট দাখিলের দাবি করেছেন ডা. লয়াকত আলী খান ও তার স্ত্রী কুমিল্লা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ রাফেয়া আক্তার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এ দম্পতির একমাত্র কন্যা ডা. শারমিন খান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে ঘটনা ও মামলার পূর্বাপর বিষয় তুলে ধরেন নিহত সাবাতের মা অধ্যক্ষ রাফেয়া আক্তার। তিনি বলেন, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি সকালে তার পুত্র সাবাতের লাশ গোমতী নদীর পালপাড়া সেতুর নিচ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় ২ জানুয়ারি সাবাতের বাবা কোতয়ালী থানায় আসামি হিসেবে কারো নাম উল্লেখ না করে মামলা করলেও এজহারে সাবাতের সঙ্গে ঘনিষ্ট ছিল এমন দশ জনের নাম দেয়া হয়। মামলাটি শুরু থেকেই তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। ওই বছরের ২৬ আগস্ট মাজহারুল ইসলাম লিটন নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করে পরদিন দশদিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই। রিমান্ডে সে কি তথ্য দিয়েছে এসব বিষয়ে আমরা কিছুই জানতে পারিনি। বর্তমানে সে জামিনে রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. লিযাকত আলী খান বলেন, ২১ বছর আগে বড় ছেলেকে হারিয়েছি। দুই বছর আগে ছোট ছেলে খুন হলো। একমাত্র মেয়ে ও তার সন্তানদের নিয়ে দিন কাটছে। ছেলের জন্য বুকটা হাহাকার করে। সাবাত আইটি কনসালটেন্ট ছিল। তাকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল। হত্যাকারীরা সেই স্বপ্নের কবর দিল। পিবিআই কুমিল্লার একজন পরিদর্শক ও একজন এএসপি এ মামলার তদন্ত করছেন। কিন্তু দুই বছরেও মামলার কোন অগ্রগতি দেখছি না। আমরা এ ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে হত্যাকারীদের শনাক্ত ও দ্রæত চার্জশিট প্রদানের দাবি করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন