লোহাগাড়ার চুনতিতে নির্বাচন পরবর্তী দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও গোলাগুলিতে উভয়পক্ষের ১৭ জন আহত হয়েছেন। গত সোমবার দুপুরে ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পানত্রিশা হাজীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শিবলী নোমান ও লোহাগাড়া থানার ওসি জাকির হোসাইন মাহমুদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। সারাদিন অভিযান চালিয়ে পুলিশ বিজয়ী মেম্বারপ্রার্থী জানে আলম ও পরাজিত মেম্বারপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।
আহতরা হলেন, ওই এলাকার মৃত জাগির মিয়ার ছেলে নুর আহমদ (৮০), তার মেয়ে রিকু আক্তার (৩০), ছেলে জসিম উদ্দিন (৪০), মৃত মোজাফফর আহমদের ছেলে আবদুল হাফেজ (৪২), মেয়ে ফাতেমা বেগম (৩৮), মেয়ে রেনু আরা বেগম (৩৫), মৃত সৈয়দ আহমদের ছেলে ইয়ারুল হক (৪২), বশির আহমদ (৫০), কহিনুর আক্তার (৩০), রেহেনা আক্তার (৪৫), দলরুবা আক্তার (২৬), আসমাউল হুসনা (৩০), তানিম (১৭), মুজিবুর রহমান (৫০), দিদারুল আলম (৩০), নাজিম উদ্দিন (৪৫) ও বশির আহমদ (৩০)। লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হানিফ জানান, চুনতি ইউনিয়নের পানত্রিশা এলাকায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তারমধ্যে ৪ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, খবর পেয়ে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শিবলী নোমান ও লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওসি জানান, খবর পেয়ে দ্রæত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনাস্থল থেকে জয়ী-পরাজিত মেম্বারপ্রার্থীসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন