ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) ২৬তম আসরের পর্দা উঠছে আজ শনিবার। রাজধানীর পূর্বাচলে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী চলবে এই মেলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মেলার উদ্বোধন করবেন।
গতকাল শুক্রবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। মেলার এক্সিবিশন সেন্টারে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথি ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রপ্তানি বাণিজ্য উন্নয়নের অন্যতম প্রধান কৌশল হচ্ছে পণ্য উন্নয়ন ও পণ্যের বাজার সৃষ্টি। আর পণ্যের বাজার সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কৌশল হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজন ও মেলায় অংশগ্রহণ। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় বাণিজ্য মেলার নবনির্মিত এই স্থায়ী ভেন্যুতে এবারের মেলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে যুক্ত হতে যাচ্ছে এক নতুন অধ্যায়।
এবার মেলায় ২২৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এর আগে ২৫তম বাণিজ্য মেলায় ৫৫৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল।
মেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনার প্রভাব এবং পূর্বাচলে যাতায়াতে রাস্তার নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় মেলা নিয়ে উদ্যোক্তা, মেলা কর্তৃপক্ষ ও দর্শনার্থীদের শঙ্কা ছিল। ফলে গতবারের চেয়ে মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান অর্ধেকের চেয়েও কমেছে।
ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান বলেন, ‘করোনার প্রভাব ও যাতায়াতব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা সংশয় থাকায় অন্যবারের তুলনায় এবার মেলায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কম। এরই মধ্যে ২২৫টি স্টল ও প্যাভিলিয়নের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
মেলায় যাতায়াতের জন্য বিআরটিসির সার্কুলার বাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে এ এইচ এম আহসান বলেন, ‘৩০টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া রাস্তার কাজও প্রায় শেষ। ফলে মেলা জমে উঠবে বলে আমরা আশা করছি।’
মেলার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে ইপিবিসচিব ও বাণিজ্য মেলার পরিচালক মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘নতুন জায়গায় নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আমাদের কাজ প্রায় শেষ। প্রতিষ্ঠানগুলো আশা করছে, মেলা উদ্বোধনের আগেই তাদের স্টল ও প্যাভিলিয়ন তৈরির কাজ শতভাগ শেষ হবে।’
তিনি বলেন, ‘এবার প্রদর্শনীর মূল হলে ১৬০টি স্টল থাকছে। হলের বাইরে সামনে থাকছে ২০টি প্যাভিলিয়ন। এ ছাড়া হলের পেছনে খোলা জায়গায় ১৫টি ফুড কোর্ট রাখা হয়েছে।’
১৯৯৫ সাল থেকে রাজধানীর শেরেবাংলানগরে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা’ হয়ে আসছে। তবে সেখানে স্থায়ী প্যাভিলিয়ন ছিল না। গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারটি হস্তান্তর করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। পরে ২১ অক্টোবর প্রদর্শনী কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সেন্টারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন