দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনের পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের লালাবাজারে দীর্ঘদিন ধরে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আছে। সরকার ও জনগণের সম্পদ এই সড়কটি ভেঙে চুরমার হয়ে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে আছে। পানিবদ্ধতার কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। তাও লালাবাজার দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ঠিক সামনে। রীতিমত ডেঙ্গু মশার কারখানায় পরিণত হয়ে আছে। অসাস্থ্যকর পরিবেশে ছড়াচ্ছে নানা রোগ জীবাণু। এ যেন দেখার কেউ নেই। এ নিয়ে স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও কর্ণপাত হচ্ছেনা কারো।
সরেজমিনে দেখা যায়, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের লালাবাজারে প্রায় এক তৃতীয়াংশ সড়কে ড্রেনের পানিতে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আছে। সড়কের পাশে পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন থাকলেও পানি নিস্কাশন হচ্ছেনা। এ পানিতে ময়লা আবর্জনা পচে স্তুূপ হয়ে ডেঙ্গু মশা, মাচি ও পোকা মাকড়ের কারখানায় পরিণত হয়ে আছে। বিকেল বা সকাল সব সময়ই মশার ঘেন ঘেন শব্দ আছেই। তাছাড়া এ পানিবদ্ধতা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য অনেক সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকেই। একটি মহাসড়কে এমন পানিবদ্ধ দেখে না দেখার ভান করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
গেল কয়েকদিন আগে পানিবদ্ধতা এড়িয়ে যাওয়ার সময় এই উপজেলার কাঁঠাদিয়া গ্রামের শাহ ফেরদৌস আহমদ নামের এক ছাত্রলীগ নেতা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন। ব্যবসায়ি ও জনসাধারণের দাবি, জরুরি ভিত্তিতে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করে পানিবদ্ধতা নিরসন প্রয়োজন। কারন এসব মল থেকে ডেঙ্গু রোগ ছড়াচ্ছে। তাছাড়া পরিবেশত নষ্টত হচ্ছেই।
একটি স্কুল এন্ড কলেজের সামনে ও জনবহুল লালাবাজারে পানিবদ্ধতার এমন করুণ অবস্থা নিরসনের জন্য স্থানীয় উপজেলা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিভিন্ন দফতরে একাধিকবার চিটি দিয়েও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে সিলেট ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, ড্রেনের কাজের জন্য টিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে এ সমস্যা নিরসন হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন