সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

চট্টগ্রামে পুলিশি বাধা সত্ত্বেও বিএনপির সমাবেশ

আহত ২০ আটক অর্ধশত

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

চট্টগ্রামে ব্যাপক লাঠিচার্জ ও পুলিশি বাধা সত্ত্বেও বিশাল সমাবেশ করেছে মহানগর বিএনপি। সমাবেশের শেষ পর্যায়ে নগরীর জামালখানে গতকাল বুধবার বিকেলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বিএনপির অর্ধশত নেতাকর্মীকে আটক করেছে।

পুলিশের অভিযোগ, সড়ক দখল করে সমাবেশ চলাকালে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে গেলে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছোঁড়ে বিএনপির কর্মীরা। এতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সড়ক সচল করার নামে পুলিশ বিনা উসকানিতে বিএনপির কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। সমাবেশের জন্য অনুমতি থাকার পরও পুলিশের এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মহানগর বিএনপির নেতারা।
‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষ্যে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জামালখান সড়কের চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে বিকেল ৩টায় মানববন্ধন এবং সমাবেশ শুরু করে বিএনপি। নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সমাবেশ শুরুর আগে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীদের ভিড়ে অল্প সময়ের মধ্যে জামালখান এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ সড়কের একপাশে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে।
এ সময় নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের সাথে কথা কাটাকাটি এবং ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে বিএনপির কর্মীরা রাস্তায় বসে পড়লে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের প্রতি ইট-পাটকেল ছোঁড়ে কর্মীরা। জবাবে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। ততক্ষণে সমাবেশ শেষ করে দেন বিএনপি নেতারা। নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জামালখান মোড়ের দিকে চলে যান। পেছন থেকে নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করে পাকড়াও করতে শুরু করে পুলিশ। এ সময় রাস্তায় ফেলে অনেক কর্মীকে বেধড়ক পেটাতে থাকে পুলিশ সদস্যরা। পরে সেখান থেকে দুইটি বাসে করে আটককৃতদের কোতোয়ালী থানায় নেয়া হয়।
নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের জুনিয়র কিছু কর্মকর্তার বাড়াবাড়ির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ হলেও শেষদিকে পুলিশ অর্ধশত নেতাকর্মীকে লাঠিপেটা করে আটক করেছে। তবে কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করেছে। সেখান থেকে ৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন