হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর সাবেক মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম (রহ.) আজীবন আল্লামা শফী (রহ.) এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে দ্বীনের বহুমুখী খেদমত করে গিয়েছেন। আল্লামা নুরুল ইসলাম (রহ.) এর পথ অনুসরণ করে আগামীতে হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হবে। অবিলম্বে কারাবন্দি সকল আলেম-উলামাদের ও তৌহিদী জনতাকে মুক্তি দিন। ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে আইন পাস করতে হবে। গতকাল বুধবার রাজধানীর খিলগাঁওস্থ মাখজানুল উলুম মাদরাসায় এই আলোচনা সভায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম (রহ.) এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে হেফাজত নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতের নায়েবে আমীর আল্লামা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমান চৌধুরী, বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, মাওলানা আবদুল আউয়াল, মাওলানা আনোয়ারুল করীম, জামিয়া ইউনুসিয়ার মুহতামিম মাওলানা মুবারক উল্লাহ, খতমে নবুওয়াতের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, মাখজানুল উলুমের মুহতামিম মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা উমর ফারুক, মাওলানা আব্দুল কাইউম সুবহানী, মাওলানা মির ইদ্রিস ও মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী। বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমানকে পূর্ণ মহাসচিব এবং মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরীকে যুগ্ম মহাসচিব করা হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনের নামে দেশে অশ্লীলতা ও অপসাংস্কৃতির প্রচলন করা হচ্ছে, যা সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলমানদের ইমান আক্বিদা বিরোধী। তাদের অনিয়ন্ত্রিত ফটকা ও বাজি ফোটানো এবং ফানুস উড়ানোর কারণে সাধারণ মানুষের জান মালের ক্ষতি হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি এই ধরনের অপসংস্কৃতির চর্চা যেন আর না হতে পারে সে বিষয় বিশেষ ভাবে নজর রাখতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন