চরফ্যাশন (ভোলা) উপজেলা সংবাদদাতা
চরফ্যাশন উপজেলার ১নং ওচমাগঞ্জ ইউনিয়নে ৩ জন ডিলারের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিন গিয়ে এমন তথ্য ফুটে উঠেছে। জানা যায়, উপজেলার ওচমানগঞ্জ ৯টি ওয়ার্ডে মোট ৩ জন ডিলার নিয়োগ করে চাল বিতরণ কার্যক্রম চলে আসছে। লতিফ মিয়ার হাট আবু তাহের, মতলব মিয়ার হাট ফয়েজ উল্লাহ ও জনতা বাজার এলাকায় মামুন মহরী। সরেজমিন গেলে তাহেরের জনৈক গ্রহক জানান, চাইল ওজন দেয়ার পর ২৮ কেজি হয়েছে। মতলব মিয়ার হাট আ.রহিম ও রাকিবের চাল ওজন দেয়ার সময় একজনের ২৭ ও অন্যজনের হয় সাড়ে ২৬ কেজি। স্থানীয়রা জানান, তারা মিটার দিয়ে চাল ওজন দিলেও অন্যস্থানে গেলে ওই চালের ওজন ২/৩ কেজি ব্যবধান হয়ে যায়। জনতা বাজার মামুন মহরীর চাল দিচ্ছে ২৫/২৬ কেজি। সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসারের সামনেই এই হতদরিদ্রের চাল কম দেয়া হয় বলে স্ব স্ব ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। জনতা বাজার ডিলার মামুন মহরীর নিকট ওজনে কম দেয়ার বিষয়টি জানাতে চাইলে তিনি পরে জানাবেন বলে লাইন কেটে দেন। ডিলার ফয়েজ উল্যাহর সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। মতলব মিয়ার হাট চাল বিতরণ মনিটরিং অফিসার ওচমানগঞ্জ ভূমি কর্মকর্তা শফিউল্যাহ জানান, স্কেল দিয়ে চাল ওজন দেয়া হয়। আমি সামনে বসা থাকি। এই ব্যাপারে ওচমানগঞ্জ আ.লীগ আহ্বায়ক আবুল কাশেম মোল্লা জানান, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া হতদরিদ্রদের চাল ২৫/২৬ কেজির বেশি দেয়া হয় না। সাধারণ মানুষ টাকা দিয়ে চাল ক্রয় করে কম নেয়ার বিষয়টি অভিযোগ করেন। এছাড়াও চালের তালিকায় তৈরির সময়ও ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। একই ঘরে ৪/৫টি নামও রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। স্থানীয় কবির হাওলাদার জানান, চাল বিতরণে কিছু কম হয়। দু‘টি স্পট মতলব মিয়া ও জনতাবাজার সরেজমিন গিয়ে মোবাইলে চাল ওজনের বিষয়টি ছবি তুলেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন