শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

নেত্রকোনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর দৃশ্যমান কোন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না

১৩ জনের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৪ জন

প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা
প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, যানবাহন ও লোকবলের অভাবে নেত্রকোনা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান কোন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মাদকের করাল গ্রাস থেকে দেশের ভবিষ্যৎ যুব সমাজকে রক্ষায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অপারেশন, মাদকের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি, মাদকাসক্তদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং মাদকাসক্তি নিরাময়ের পর তাদেরকে কর্ম-সংস্থানের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৮৪ সালে নেত্রকোনা মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হওয়ার পর জেলা সদরে মাদকদ্রব্য সার্কেল অফিস চালু করা হয়। জনবল কাঠামো অনুযায়ী সার্কেল অফিসে ৬টি পদ থাকলেও ২/৩ জনের বেশি লোক কখনোই সেখানে কর্মরত ছিল না। ফলে নেত্রকোনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন অফিস ছিল কিনা তা নেত্রকোনাবাসী জানতই না। বর্তমান সরকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জেলা পর্যায়ের সার্কেল অফিসগুলোকে ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে অধিদপ্তরের নতুন সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী জেলা কার্যালয়ে রূপান্তরিত করেন। নতুন সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী জেলায় একজন সহকারী পরিচালক, একজন পরিদর্শক, একজন উপ-পরিদর্শক, একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক, তিনজন সিপাহী, একজন অফিস সহকারী, একজন ওয়্যারলেস অপারেটর, একজন এমএলএসএস, একজন ঝাড়–দার, একজন নৈশ প্রহরী ও একজন গাড়ি চালকের পদ সৃষ্টি করা হয়। নেত্রকোনায় ১৩ জনের মধ্যে মাত্র ৪ জন কর্মরত রয়েছেন। শূন্য পদগুলো হচ্ছে একজন সহকারী পরিচালক, একজন উপ-পরিদর্শক, একজন সিপাহী, একজন অফিস সহকারী, একজন ওয়্যারলেস অপারেটর, একজন এমএলএসএস, একজন ঝাড়–দার, একজন নৈশ প্রহরী ও একজন গাড়ি চালক। সচেতন মহলের অভিমত, বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতির ফলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক পাচার ও বিপণনের জন্য নিত্যনতুন কৌশল, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নতমানের যানবাহন ব্যবহার করছে। প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, যানবাহন ও লোকবলের অভাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারায় নেত্রকোনা মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। হাত বাড়ালেই মিলছে নানা ধরনের মাদক। মাদক দ্রব্যের সহজলভ্যতার কারণে উঠতি যুব সমাজের পাশাপাশি যুবতীরাও মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবু তাহের দেওয়ান বলেন, স্বল্পসংখ্যক লোকবল দিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষে কোনভাবেই মাদক ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়ে আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দিচ্ছি। নেত্রকোনা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আজাদুল ইসলাম বলেন, আমরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছি। গত এক বছরে প্রায় একশ’টি মামলা দায়ের করেছি। প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, যানবাহন ও লোকবলের অভাবে কাজ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনীয় লোকবল, অপরাধ দমনের জন্য উন্নতমানের দ্রুতগামী যানবাহন, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, সোর্স মানি ও অপরাধ দমনে অর্থ ব্যয় বৃদ্ধি করা হলে নেত্রকোনায় মাদকদ্রব্যের অপ-ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মোঃ সাদ্দাম হোসেন ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:৫৯ পিএম says : 0
আজকে সকালে একজন মাদক সেবনকারীকে উনাদের( মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নেত্রকোনা) হাতে হয়েছে। ঐ সেবনকারী তার পরিবারকে নানাভাবে অশান্তিতে রাখে বাবা-মা সহ পরিবারের সকলকে মারার হুমকি দেয়। তারপর থাকে উনাদের হাতে দেওয়ার পর মাজিস্ট্রেট সাহেব ওরে তিন দিনের জন্য জেলে ফেরন করে। এমতাবস্থায় যদি ও তিনদিন পর ছাড়া পায় তবে কতটুকু উপক্রিত হওয়ার আশা করতে পারে তার পরিবার।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন