রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নবির হোসেন (৩৫) নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৬ নম্বর ঘাট থেকে নবির হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নবীর হোসেন উপজেলা হাটাব আতলাশপুর এলাকার আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে। জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ৬ নম্বর ঘাটের শীতলক্ষ্যা নদীতে এক ব্যক্তির গলিত লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে নবির হোসেনের মা হিরু বানু ও ভাবি রুজিনা বেগম লাশ শনাক্ত করেন। ধারণা করা হচ্ছে, এক সপ্তাহ আগেই নবির হোসেনকে হত্যার পর শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়া হয়। তবে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসলে প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে। নবির হোসেনের ভাই জাকারিয়া জানান, গত ২০ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে নিজ বাড়ি হাটাব আতলাশপুর থেকে কাঞ্চন যাওয়ার কথা বলে একই এলাকার সুকুমারের ছেলে উত্তমের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি নবীর হোসেন। নিখোঁজের ২ দিন পর জাকারিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। নবির হোসেনের মা হিরু বাবু, ভাবি রুজিনা, ভাই জাকারিয়াসহ পরিবারের অভিযোগ, নবির হোসেন একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। একই বাড়ির সিঙ্গাপুর প্রবাসী কবির হোসেনের সঙ্গে নবির হোসেনের বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। গত এক বছর আগে কবির হোসেনসহ তার লোকজন নবির হোসেনসহ পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। ওই ঘটনায় প্রতিবাদ করেছিলেন নবির হোসেন এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর (একটি মাথা কেটে নেবে বলে) হুমকি দিয়ে বিদেশে চলে যায় কবির হোসেন। বিদেশ থেকে আসার তিনদিন পরই নবির হোসেনকে অপহরণ করা হয়। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, হত্যার ঘটনা রহস্য উদঘাটন করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন