পিরোজপুরের বাস চালককে মারধরের ঘটনার সমাধান না হওয়ায় পিরোজপুর থেকে ৫ম দিনেও চলছে অনির্দিষ্টকালের জন্য ৫টি রুটের বাস চলাচল। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে এ রুটে চলাচলকারী শতশত যাত্রী।
রোববার (০৯ জানুয়ারী) সকালে বিষয়টি সমাধান হয়নি বলেই যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ ও মাইক্রো বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো: হান্নান শেখ।
এর আগে শনিবার সমস্যার সমাধানে ১০ টায় মিটিং হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যায় গিয়ে ঝালকাঠি সমিতি মিটিং বর্জন করেছে।
বরিশালগামী যাত্রী নাঈম জানান, বাস না থাকলে ভেঙে ভেঙে যাতায়াত করা কষ্টকর। আমার জরুরী প্রয়োজনে বরিশাল যাওয়ার দরকার, কিন্তু এই অনির্দিষ্টকালের বন্ধের কারনে যেতে পারছি না। বাসে গেলে ভাড়া লাগত ১৩০ টাকা। কিন্তু এখন ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে সময় লাগবে বেশি আবার ভাড়াও লাগবে বেশি। তাদের এই বাস বন্ধের কারনে আমরা অনেক ভোগান্তিতে পড়েছি।
জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ ও মাইক্রো বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো: হান্নান শেখ জানান, বাস চালককে মারধরের ঘটনায় পিরোজপুর জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ ও মাইক্রো বাস শ্রমিক ইউনিয়ন খুলনা-বরিশাল-ঝালকাঠি-বরগুনা-পটুয়াখালী এ ৫টি রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি প্রতিনিয়তই বাড়ছে। আর বাস চালক, সুপারভাইজারসহ সংশ্লিষ্টদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে আছে। ঝালকাঠি সমিতি নির্বাচনের পর ১০ জানুয়ারী মিটিংয়ে বসবেন বলে জানিয়েছে। ফলে সহসাই ঘটনার সমাধান হচ্ছে না বলে জানান পিরোজপুরের এই শ্রমিক নেতা।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জানুয়ারি ঝালকাঠি বাস টার্মিনালের অফিস কক্ষে পিরোজপুরের সিনিয়র বাস ড্রাইভার অরবিন্দ কুমার দাসকে আটকে রেখে মারধর ও তার সাথে থাকা নগদ ৩৯ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ৫ জানুয়ারী থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য খুলনা-বরিশাল রুটে সরাসরি সকল বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন