চালককে মারধরের প্রতিবাদ ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবিতে ঝালকাঠি-বরিশালসহ পাঁচ রুটে চারঘণ্টা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে আন্তজেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত এ ধর্মঘট করেন তাঁরা। এ সময় ঝালকাঠি থেকে বরিশাল, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া, রাজাপুর, কাঁঠালিয়াসহ পাঁচ রুটের যাত্রীরা বিপাকে পড়েন। আকস্মিক বাস ধর্মঘটের কারণে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অন্যান্য যানবাহনে গন্তব্যে যেতে হয় যাত্রীদের।
জেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, সকাল ১০টার দিকে ভান্ডারিয়া থেকে যাত্রীবাহী বাস আল মদিনা ঝালকাঠির বারইবাড়ি এলাকায় আসলে বাস মালিক সমিতির চেকপোস্টে গাড়িটি থামানো হয়। এ সময় গাড়ি চালক হেলালের সাথে মালিক সমিতির চেকপোস্টে বহিরাগত কয়েকজন যুবকের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে গাড়ি চালককে মারধর করা হয়। এ ঘটনার পর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ তাৎক্ষণিক বৈঠক ডেকে বাস ধর্মঘটের ডাক দেন।
শ্রমিক নেবৃন্দের অভিযোগ, বাস মালিক সমিতি সড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্টে বহিরাগত লোক বসিয়ে গাড়ি চালকদের হয়রানি করে। চালকদের মারধরের ঘটনাও ঘটে প্রায়ই। চালকদের নিরাপত্তার অভাবে বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে উভয় সংগঠনের মধ্যে বৈঠকে সমঝোতা হলে বিকেল তিনটায় বাস চলাচল শুরু হয়।
বাস ও মিনি বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, শ্রমিকর সাথে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তা সমাধান হয়েছে। পুনরায় বাস চালাচলও শুরু হয়েছে। শ্রমিক ও মালিক পক্ষের মধ্যে সামান্য ঘটনা ঘটেছে। এটা মিমাংসা হয়ে গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন