শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ব্রিজ যখন মরণফাঁদ

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে রানীগঞ্জ ইউনিয়ন এর নাওরার পাড় খালের ওপর নির্মিত এই ব্রিজটি ভেঙে পড়ার কারণে যাতায়াতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে নাওয়ারপাড় ও মজাইটারি গ্রামের বাসিন্দারা। দ্রুত রাস্তা ও ব্রিজ সংস্কারের দাবি জানান ওই এলাকাবাসী।
জানা যায়, চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের মজাইটারি ফারিয়ার মোড় হতে নাওয়ারপাড় পর্যন্ত রাস্তায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের তত্ত্বাবধানে সেতু নির্মাণ করেন। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সূত্র অনুযায়ী ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৩২ লাখ ৫২ হাজার টাকা, সেতুটি নির্মাণের সময় নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় নির্মাণের বছর না পাড় হতেই বন্যার পানির স্রোতে রাস্তা ও ব্রিজ ভেঙে যায়। এতে এলাকার লোকজনের চলাচলের জন্য সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া খালের দু’পাড়ের মজাইটাটি, ফকিরেরহাট, নওরারপাড়া, গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। স্কুল ও মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীসহ চিলমারী সদরে যাতায়াতের জন্য ব্রিজটি সহজ মাধ্যম হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রিজটি দিয়ে যাতায়াত করছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ভাঙা এই ব্রিজটি পাড় হতে গিয়ে খালে পরে আহত হয়েছেন অনেকে।
মজাইটারি গ্রামের বাসিন্দা আজাহার আলি জানান, ৫-৬ মাস ধরে আমাগো এই ব্রিজটা ভেঙে পড়ে আছে। এই গ্রামের মানুষ যাতায়াতে অনেক কষ্ট হয়, আমরা বাচ্চ-কাচ্চা নিয়ে যাতায়াত করতি পারি না। এইডা হচ্ছে আমাগো রাস্তা, এখান দিয়ে অনেক লোক যাওয়-আসা করে। আপনারা যদি পারেন, দয়া করে এই পুলটা ভালো করে দেন। আমরা অনেকেরে জানাইছি, তারা সমাধান কিছু করে না।
একই গ্রামের সাজেদা বেগম বলেন, ‘বন্যার পানি ধাক্কা মেরে এই ব্রিজটা ভাইঙ্গে থুইয়ে যায়। আমরা মেম্বার-চেয়ারম্যান সবাইরে জানাইছি, কিন্তু কেউ কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না। এই ব্রিজটির ওপর দিয়ে স্কুলগামি বাচ্চারা যাতায়াত করে’।
ফকিরহাট গ্রামের বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘প্রায় ৫ বছর ধইরে ভাইঙ্গে এই ব্রিজটা অকেজো হয়ে রইছে, আমরা যে কি কষ্টে যাতায়াত করতিছি। চেয়ারম্যান-মেম্বারদের এত বলিছি, তারা কোন কর্ণপাত করে না। আমাগো এই যে তিনডে-চাইরডে গ্রামের লোকজনের রাস্তা একটা। অনেক মানুষ এই জাগাদে পইরে হাত-পাও ভাঙ্গিছে”।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানানেই। তবে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন