নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, পুলিশের কার্যক্রমের কারণে নারায়ণগঞ্জে একটি ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক দূতাবাসের যারা আছেন, পাশাপাশি মানবাধিকার কর্মী যারা আছেন সবাইকে বলব, আপনারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুন। কেন আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ যাচ্ছে?
কেন নেতাকর্মীদের কোনো মামলা ছাড়াই গ্রেফতার করা হচ্ছে, মাঠ ছাড়তে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। তৈমূর বলেন, আমি বার বার বলে আসছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন চান, এ কথাটা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। নারায়ণগঞ্জে যা হচ্ছে, প্রশাসন যা করছে সে ব্যপারে তার কোনো নির্দেশনা নেই বলেই আমি বিশ্বাস করি। অতি উৎসাহীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণের পথকে রুদ্ধ করতে চাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসন যদি মনে করে আমার নেতাকর্মীরা ভীত, জনগণ ভীত তবে ভুল করছে। আমার নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আছে। আমার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হওয়ায় তারা (আওয়ামী লীগ) ভীত হয়েই এসব করাচ্ছে। তারা বুঝতে পারছে আমার দলের নেতাকর্মীরা তো নৌকায় ভোট দেবে না, পাশাপাশি সরকারি দলের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ পাঠিয়ে তাদেরকেও রাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৈমূর বলেন, হঠাৎ করেই তাদের (আওয়ামী লীগ) ছাত্র সংগঠনের কমিটি ভেঙে দিচ্ছে। কারণ, তারা নৌকার পক্ষে কাজ করছে না। কাউকে ধমক দিয়ে গালি দিয়ে তো কাজ করানো যায় না। নারায়ণগঞ্জের জনগণের কাছে মেসেজটা ক্লিয়ার যে, তাদের মাঝে বিরাট ফাটল। ঢাকা থেকে মেহমানরা এসেও এই ফাটল মেটাতে পারেনি। এবার পরিবর্তন আসবে। হাতি এখন জনগণের মার্কা।
এ সময় তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, জেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম টিটু, মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন খান, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, সহসভাপতি ফারুক হোসেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর সবুর খান সেন্টু, মহানগর শ্রমকি দলের সভাপতি আলী আজগর প্রমুখ। এদিকে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা শেষে তৈমূর আলম খন্দকার নগরীর ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকটি এলাকায় প্রচারণা চালান। শহরের দ্বিগুবাবুর বাজার এলাকায় তৈমূরের প্রচারণার সময় বাজারের ব্যবসায়ী ও আশপাশের হকাররা তাকে জড়িয়ে ধরেন। সেখানকার রিকশাচালক, ভ্যানচালকরাও তৈমূরকে দেখে ছুটে আসেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন