নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে ৫৩ কেন্দ্রের ফল বেসরকারিভাবে প্রকাশিত হয়েছে। এতে নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর আলম খন্দকারের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।
৫৩ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ৪৩ হাজার ৭৫৭ ভোট। আর হাতি মার্কা নিয়ে তৈমূর পেয়েছেন ২৩ হাজার ৮০২ ভোট। রোববার সকাল ৮টায় ১৯২টি কেন্দ্রে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। শান্তিপূর্ণভাবে চলা ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়।
নারায়ণগঞ্জ শহরে ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন পুরুষ ও ২ লাখ ৫৭ হাজার ১১১ জন নারী ভোটার এবং চারজন ট্রান্সজেন্ডার ভোটার রয়েছেন। ভোট কত শতাংশ পড়েছে, তা তাৎক্ষণিক জানাতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।
শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষে ফলের অপেক্ষায় আছেন প্রার্থীরা। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার অস্থায়ী কার্যালয় থেকে প্রচার করা হবে নির্বাচনের বেসরকারি ফল।
মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে নৌকার সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সদ্য বহিষ্কৃত নেতা তৈমূর আলম খন্দকারের মধ্যে।
বাবার কবর জিয়ারত করে রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে নগরীর শিশুবাগ বিদ্যালয়ে ভোট দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।
সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হলে নিশ্চিতভাবে আবারও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘ইনশাল্লাহ আমি জিতবই, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমি জিতবই।’
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেন তৈমূর। ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের তৈমূর বলেন, ‘ভোটগ্রহণ শেষে বলা যাবে পরিবেশ কেমন ছিল। আমি আমার জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। সবকিছু ঠিক থাকলে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জিতব।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন