পাকিস্তান বৃহস্পতিবার সতর্ক করেছে যে, বর্তমান পরিস্থিতিকে জটিল করার জন্য ভারতের আরেকটি ‘বানোয়াট সীমান্ত অভিযান’ চালানোর বাস্তব আশঙ্কা রয়েছে। প্রতিবেশীদের সাথে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের উদ্দেশ্যে পাকিস্তান একটি নতুন জাতীয় নিরাপত্তা নীতি উন্মোচন করার ঠিক এক দিন আগে জারি করা একটি সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানায়।
দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র আসিম ইফতিখার সাপ্তাহিক বিবৃতিতে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিকে জটিল করতে ভারত আরেকটি বানোয়াট অভিযান চালাতে পারে, এমন একটি বাস্তব সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে আমাদের বন্ধুদের এই সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্ক করে যাচ্ছি।’ ভারতীয় সেনাপ্রধান সম্প্রতি তার বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) জুড়ে তথাকথিত লঞ্চ প্যাড এবং প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের উপস্থিতি দাবি করার পর ইফতিখার ভারতীয় সেনাপ্রধানের ‘ভুল মন্তব্য’ স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় জেনারেলের ভিত্তিহীন অভিযোগ সম্পর্কে নতুন কিছু নেই, কারণ এগুলি ভারতের নেতৃত্বে বিজেপি-আরএসএস (ভারতীয় জনতা পার্টি-রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ) দ্বারা পরিচালিত বিদ্বেষপূর্ণ পাকিস্তান-বিরোধী প্রচারণার একটি অংশ।’
অসীম ইফতিখার বলেন যে, ভারত সরকার ‘অখন্ড ভারত’ এর বিভ্রান্তিকর ধারণার মধ্যে গাঁথা তার যুদ্ধবাদী এবং সম্প্রসারণবাদী এজেন্ডা দ্বারা চালিত হয়েছে, যা আঞ্চলিক শান্তির জন্য একটি গুরুতর হুমকি তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন যে, ভারতীয় সেনাপ্রধান ভারতের রাষ্ট্র-সন্ত্রাস এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে বিশ্বের মনোযোগ সরানোর জন্য একটি মরিয়া প্রচেষ্টা করেছেন, যা অবৈধভাবে ভারতের অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে (আইআইওযেকে) অবিচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রয়েছে।
আইআইওজেকে-তে অবিলম্বে ভারতীয় অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস বন্ধের নোটিশ নিতে এবং আইআইওজেকে-তে মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য ভারতকে দায়বদ্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান পাকিস্তানের মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ভারতকে অবিলম্বে আইআইওজেকে-তে তার নির্যাতন বন্ধ করতে, কাশ্মীরিদের উপর নিপীড়নের প্রচারাভিযান পরিত্যাগ করতে এবং জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রাসঙ্গিক রেজুলেশনের অধীনে তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাশ্মীরিদের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করতে আহ্বান জানাচ্ছে।’
ইফতিখার দাবি করেছেন যে, আইআইওজেকে-তে স্বাধীনভাবে তদন্ত করার জন্য ভারতকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এবং মানবিক সংস্থা এবং জাতিসংঘের বিশেষ ম্যান্ডেট ধারকদের অবাধ প্রবেশাধিকার দিতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীর সহ সমস্ত অমীমাংসিত বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ভারতের সাথে অর্থপূর্ণ আলোচনার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদিও, ভারতের উপর দায়ভার বর্তায় সংলাপের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা। সূত্র : ট্রিবিউন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন