পটুয়াখালীর দুমকিতে অর্ধশত বছরের চলাচলের পথ আটকানোর ঘটনায় থানা ও ইউএনও অফিসে লিখিত দিয়ে পাঁচ দিনেও মুক্তি মেলেনি অবরুদ্ধ ১০ পরিবারের। তবে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুস সালাম বলছেন, দুই পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছিল পরবর্তীতে ইউএনও মহোদয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন মাসুদ বলেন, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে পাশাপাশি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি সমস্যার সমাধান না করলে আমি নিজে গিয়ে সমস্যার সমাধান করে দিব।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার গভীররাতে উপজেলার উত্তর পাঙ্গাশিয়া গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে। উত্তর পাঙ্গাশিয়া গ্রামের আবদুল গনি মৃধার ছেলে মো. নুর ইসলাম মৃধার সাথে একই বাড়ির মৃত ফকু হাওলাদারের ছেলে হাবিব হাওলাদারের জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে গভীররাতে চলাচলের রাস্তা আটকে বসতঘরের বারান্দা নির্মাণ করে। এতে ১০ পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে নুর ইসলাম মৃধা বাদি হয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে গত বুধবার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। কিন্তু ঘটনার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে গতকাল জানান ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগের বিষয়ে হাবিব হাওলার বলেন, আমাদের জমিতে বসতঘর এবং বারান্দা তোলা হয়েছে। এতো দিন আমাদের জমির ওপর দিয়ে সবাই চলাচল করেছে। এখন আমার জমিতে বারান্দা দেয়া দরকার হয়েছে বলে বারান্দা দিয়েছি। এতে কোন অন্যায় হয়েছে বলে মনে করি না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন