মিন্টু মাঝি (৩৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। গতকাল রোববার সকালে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ডিএমখালী হাওলাদার কান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মিন্টু ওই গ্রামের আমান উল্লাহ মাঝির পুত্র। এই ঘটনায় আরো দুই জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন নিহতের ভাই রশিদ মাঝি ও বোন তাছলিমা। এ ব্যাপারে সখিপুর থানায় মামলা হয়েছে।
নিহতের বোন আহত তাসলিমা জানান, ডিএমখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বেপারীর ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল চালক সুমন হাওলাদারের নেতৃত্বে আরিফ হাওলাদার, আবুল কালাম, আ. কাদেরসহ প্রায় ১০ জন লোক আমাদের ফসলি জমির বেড়া ভাঙতে আসে। আমি ও আমার ভাই হামলাকারীদের বাঁধা দেই। তখন শাবল ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হামলাকারীরা আমাদের গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে আমার ভাই মিন্টুর মৃত্যু হয়। আমি ও আমার বড় ভাই আ. রশিদ মাঝিও গুরুতর আহত হয়েছি। নিহতের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ইভা আক্তার বাদী হয়ে সখিপুর থানায় মামলা করেছে।
এ ব্যাপারে ডিএম খালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহসিন হক আবু বেপারী বলেন, অভিযুক্ত সমুন আমার গাড়ির চালক নয়। এখানে কে আমার প্রভাব খাটালো সেই বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি সর্বদা ন্যায় ও সত্যের পক্ষে আছি।
সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন