শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

কেশবপুরে শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণের প্রতিবাদ

প্রভাষকের হাতে প্রিন্সিপাল লাঞ্ছিত

কেশবপুর (যশোর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

কেশবপুরের গৌরিঘোনা ইউনিয়নের এবিজিকে ফাযিল মাদরাসার বাংলা প্রভাষক মোমরেজ উদ্দীন বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তার বিরুদ্ধে একই প্রতিষ্ঠানে অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশালীন আচরণ ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। যার কারণে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে পড়েছে। শিক্ষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যক্ষ তাকে একাধিকবার নোটিশ দিয়ে সাবধান করলেও প্রতিষ্ঠানের পাশে বাড়ি হওয়ায় তিনি প্রভাব বিস্তার করে অধ্যক্ষকেও হুমকি দিয়ে লাঞ্চিত করেছেন। প্রতিকারের আশায় মোমরেজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতির নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন অধ্যক্ষ ছাইদ উদ্দীন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গৌরিঘোনা এ বি জি কে ফাযিল মাদরাসার বাংলা প্রভাষক মোমরেজ উদ্দীন গত প্রায় দু’বছর ধরে প্রতিষ্ঠানের অনান্য শিক্ষকদের সাথে তর্কবিতর্ক ও অসাদাচরন করনে। যার কারনে অধ্যক্ষ ও প্রভাপতি মৌখিকভাবে তাকে সতর্ক করেন। কিন্তু তার বাড়ি প্রতিষ্ঠানের পাশে হওয়ায় প্রভাব বিস্তার করে কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে খারাপ অচরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। পরিবর্তন না হওয়ায় তাকে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। সুষ্ঠু জবাব দিতে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে তাকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। গত ৫ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন রাতে মোবাইলে অধ্যক্ষ (চলতি দায়িত্বে) ছাইদ উদ্দীনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। হুমকি দেয়ার রেকর্ডটি বর্তমানে অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে পড়েছে। অধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকরা ভয়ে প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেন না। প্রতিষ্ঠানের প্রসাশনিক দায়িত্ব ও সব ধরনের অফিসিয়ার কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবে করতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নিকট গতকাল রোববার লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক মোমরেজ উদ্দীন বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। একটি পক্ষ প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট ও এলাকায় আমার সুমান নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ অভিযোগ করা হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, প্রভাষক মোমরেজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন