শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

অনিশ্চয়তায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির বোরো আবাদ

ইছামতি খালে পানি সঙ্কট চরম দুশ্চিন্তায় কৃষক

নুরুল আবছার তালুকদার, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

ইছামতি খালে পানি সঙ্কটে ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এতে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ৫ হাজারেরও অধিক কৃষক দুশ্চিন্তায় পড়েছে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না হলে বোরো চাষিরা বড় ধরনের সমস্যায় পড়বে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেছেন, ইছামতি খালে পানি সঙ্কট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আনোয়ারা কৃষি অফিস সূত্রে জানা য়ায়, শিকলবাহা খালের কৈখাইন নোয়া রাস্তার মাথা থেকে ইছামতি খালের শুরু। উপজেলার চাতরী, আনোয়ারা সদর, বারখাইন, পরৈকোড়া, হাইলধর ও বরুমচড়াসহ ৬ ইউনিয়নের বোরো ও রবিশস্য চাষিরা ইছামতি খালের পানির ওপর নির্ভরশীল। এ খালে শঙ্খ নদীর লোনা পানি প্রবেশ বন্ধ করতে এক বছর আগে বরুমচড়া ভরাশঙ্খ খালের মুখে ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের প্রথম এলিভেটর রাবার ড্রাম নির্মাণ করা হয়। এরপর শিকলবাহা খালের নোয়া রাস্তা-কোদলা ইছামতি খালের মুখে দেয়া হয় বাঁধ এবং নির্মিত হচ্ছে স্লুইচগেট। নতুন স্লুইচগেট নির্মাণ কাজ চললেও পুরাতন স্লুইচগেট দিয়ে জোয়ার-ভাটার পানি ওঠা-নামা করে। এর ফলে ৬ ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার কৃষক ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ও রবি শস্যেও চাষ করে থাকে। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোডের নির্মিত পুরাতন স্লুইচগেট নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন লোক না থাকায় শিকলবাহা খাল দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকলেও ইছামতি খালের ভেতর প্রবেশের আগেই ভাটায় আবারও সে পানি নেমে পড়ে। এতে করে হাইলধর, চাতরী, শোলকাটা, বোয়ালগাঁও, খীলপাড়া, ধানপুরা, শিলাইগড়া, ঝিওরি, বরুমচড়া, নলদিয়া, পদ্মাপাড়া, তৈলারদ্বীপসহ এ অঞ্চলের রবিশস্য ও বোরো চাষের চাহিদা অনুপাতে সেচের পানি না পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে বোরো চাষে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
কৈখাইন এলাকার কৃষক জমির হোসেন বলেন, বোরো মৌসুমের এ মাসে পানি না পেলে বোরোর বীজ রোপন করা সম্ভব হবেনা। এর ফলে চাষও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রমজান আলী জানান, ইছামতি খালের পানি দিয়ে উপজেলার ৫ হাজারেরও অধিক কৃষকের বোরো চাষ করে থাকে। পানি সঙ্কট দেখা দিলে বোরো চাষ ব্যাহত হবে। বিষয়টা দ্রুত সমাধানে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে।
চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তনয় কুমার ত্রিপুরা বলেছেন, নতুন স্লুইচগেট নির্মাণের কারনে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে, তাছাড়া স্লুইচ গেটের বিষয়টা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাই নিয়ন্ত্রণ করে। জনবল সঙ্কটের কারণে স্লুইচগেটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোক দেয়া সম্ভব নয়। পানি সঙ্কটের বিষয়টি এতোদিন নজরে ছিলনা। সঙ্কট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন