গত মাসের অনাকাক্ষিত অতি বৃষ্টিতে অনেক বীজতলা নষ্ট হওয়ার পরও ভাঙ্গার ১২টি ইউনিয়নের কৃষক আশায় বুক বেঁধে পেঁয়াজের ব্যাপক চাষ করেছে এ বছর।
সরেজমিনে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সারসাকান্দি গ্রামে দেখা যায়, জমির পর জমিতে শুধু পেঁয়াজের পাতা, মৃদু বাতাসে দোল খাচ্ছে। সারসাকান্দি গ্রামের কৃষক আবুল শেখ বলেন, এখানে আমরা তিন ধরনের পেঁয়াজ লাগাই মুড়িকাটা, হালি বা রাখি পেঁয়াজ আর কদম পেঁয়াজ। এই যে চক ভরা দেখছেন- এগুলি সব হালি পেঁয়াজ, যা সারা বছর বাজারে থাকে বা ঘরে রেখে খাওয়া যায়। এই পেঁয়াজ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়।
ভাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুদর্শন শিকদার বলেন, এবার গোটা ভাঙ্গা থানায় মুড়িকাটা ৫৮০ হেক্টর, হালি ১৫০০ হেক্টর ও কদম পেঁয়াজ ৪৩৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এর মধ্যে লালতীর, তাহের পূরী ও ফরিদপুরী জাতই বেশি। ভাঙ্গার ১২টি ইউনিয়নে ঘুরেই পেঁয়াজের আশাতীত চাষ লক্ষ্য করা গেছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে ওঠতে শুরু করবে।
প্রতি বছরই আমাদের দেশে পেয়াজের ঘাটতি দেখা দেয় এবং ভারত রফতানি বন্ধ করে দিলে হঠাৎ করে মূল্য বেড়ে যায়। সাধারণ কৃষকরা বলেন, সব সময় পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য পাওয়া যায় না, বাজার মূল্যের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি পড়ে যায়, ফলে কৃষক পেঁয়াজ চাষে নিরুৎসাহিত হয়ে পরে। কৃষকের আশা ন্যায্য দাম পেলে তারা আরও বেশি পরিমাণ জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করবে। এতে দেশ পেয়াজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন