পিরোজপুরের নাজিরপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারী নিজে স্টেশনে না থেকেও ১৫ চিকিৎসক ও কর্মচারীকে কর্মস্থলে বিলম্বে উপস্থিতির ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ দিয়েছেন। এ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার ওই কর্মকর্তার স্বাক্ষর করা পৃথক নোটিশের মাধ্যমে ১৫ চিকিৎসক ও কর্মচারীকে ওই চিঠি দেয়া হয়। এর মধ্যে ২ জন চিকিৎসকসহ ১৩ জন বিভিন্ন পদের কর্মচারী রয়েছেন। এতে তাদের কাছে কর্মস্থলে বিলম্বে উপস্থিতির ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
নোটিশ প্রাপ্ত দুই চিকিৎসক হলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. প্রীতিশ কুমার বিশ্বাস ও আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. শুভ ওঝা। এর মধ্যে ডা. শুভ ওঝা ওই দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রধান অফিস সহকারী মো. আসলাম মিয়া ওই নোটিশ সরবরাহ করেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান। তবে মো. আসলাম মিয়া জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর মুঠোফোনের নির্দেশে তিনি ওই নোটিশ দিয়েছেন।
এদিকে চিকিৎসক ও কর্মচারীরা জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারী গত ১১-১৬ জানুয়ারি নাজিরপুরেই ছিলেন না।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসানাত ইউসুফ জকি জানান, ডা. ফজলে বারী ছুটি নিয়েছেন। তবে কোনো চিকিৎসক বা কর্মচারীকে কোন ধরনের নোটিশ দিলে তার তথ্য আমার কাছে দেয়ার কথা। আমি অফিসে না থাকার কারণে এ বিষয়ে কিছু জানি না।
নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. মো. ফজলে বারী জানান, আমাদের হাসপাতালে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা নেয়া হয়, সে কারণে ঐ দিন তারা সবাই বিলম্বে আসার কারণে আমি তাদেরকে নোটিশ দিতে বলেছি এবং তারা সবাই আমাকে আমার নোটিশের জবাব দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন