ভয়ংকর হয়ে ওঠেছে ‘কিশোর গ্যাং’। এ কিশোর গ্যাং সিলেটেও নাড়িয়ে দিচ্ছে। ভয়ঙ্কর এসব গ্যাংয়ের সদস্যরা তুচ্ছ ঘটনায় খুনোখুনি, ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়ে সিলেট নগরীতে। বেপরোয়া এ গ্যাং এর অপতৎপরতা থামাতে এসএমপির ৬টি থানায় তালিকা তৈরী করা হয়েছে ২২০ জনের।
সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, এই গ্যাং সদস্যদের মধ্যে কারো বাবার আছে অঢেল অর্থ সম্পদ। টাকা হাতে থাকায় তারা দ্রুত গ্রুপ তৈরি করে দাপট দেখান। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান করে ছাত্রীদের উত্যক্ত করা, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক সেবন, ছিনতাই, তির জুয়া, মারামারি, নতুবা গ্রুপিং রাজনৈতিক নেতাদের মিছিল মিটিং লোক ভারী করা ‘কিশোর গ্যাং’র মূল নেশা। বিভিন্ন সময় ‘কিশোর গ্যাং’র সদস্যরা আইনের আওতায় আসলেও আড়ালেই থেকে যায় তাদের গডফাদাররা।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) সূত্র জানায়, সিলেট নগরীর ৬ থানা এলাকায় ২২০ জন তরুণের নাম ‘কিশোর গ্যাং’র সাথে জড়িত। এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে কথিত বড় ভাইয়েরা এদের আশ্রয়ে দিয়ে থাকেন। ‘কিশোর গ্যাং’ এখন বড় ধরনের একটি সামাজিক সমস্যা। সম্প্রতি সিলেটে কিশোর গ্যাংয়ের তাণ্ডব এখন প্রকট হয়ে ওঠেছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের তালিকা অনুযায়ী ১৫-২০ টি ‘কিশোর গ্যাং’ নগরীতেই রয়েছে। যাদের সদস্য অন্তত আড়াই শ’র উপরে। যাদের মধ্যে ২২০ জনের তালিকা এখন মেট্রোপলিটন পুলিশের হাতে রয়েছে। তাদের বেশিরভাগেরই বয়স ১৮ বছরের নিচে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সিলেটে পুলিশ যেহেতু ‘কিশোর গ্যাং’র তালিকা করেছে। পুলিশের উচিৎ ওই তালিকা থানায় থানায় টানিয়ে দেয়া। পাশাপাশি এসব কিশোরের অভিভাবকদের উচিত খবর নেয়া- তাদের সন্তান পুলিশের তালিকায় রয়েছে কি-না।’
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ বলেন, যারা কিশোরদের শেল্টার দেন তাদেরও চিন্তা করা প্রয়োজন- এই কিশোর বেপথে চলে যাচ্ছে। কথিত বড়ভাইদের কারণেই দিন দিন ‘কিশোর গ্যাং’ ভয়ংকর হয়ে ওঠছে। সবাই সচেতনভাবে কাজ করে ‘কিশোর গ্যাং’ বিলুপ্ত করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন