গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের এককালীন অর্থ বরাদ্দ চান ডিসিরা। তবে এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এদিকে আজ বৃস্পতিবার শেষ হচ্ছে ডিসি সম্মেলন। গত বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের ষষ্ঠ অধিবেশন শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। দুর্যোগ মন্ত্রণালয় ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ কার্য অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম. আলী আজম। জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন শেষে তিনি এ তথ্য জানান। সচিব বলেন, ওমিক্রন এসেছে। খুব বেশি ছড়াচ্ছে। ডিসিরা আগে যেমন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, আগের মতো এখনো সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলা পর্যায়ে যাতে সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছি। কারণ গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশে যে দুর্যোগগুলো হয়েছে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও একই সঙ্গে করোনা, সেই সময়ে সরকারের যে নির্দেশনা সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসকরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছেন। করোনার সময়ে প্রায় ৭ কোটি মানুষকে মানবিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং ৩৩৩Ñ নম্বরের মাধ্যমে প্রায় ২২ লাখ মানুষকে মানবিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এই কঠিন কাজটি সম্ভব হয়েছে, জেলা প্রশাসকদের সমন্বয়ের কারণে। তিনি বলেন, আলোচনার সময় জেলা প্রশাসকরা প্রস্তাব রেখেছেন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আমরা এককালীন অর্থ বরাদ্দ দিতে পারি কি-না। আমরা সেখানে দ্বিমত পোষণ করেছি। আমরা বলেছি দুই বা তিন কিস্তিতে দিলে কাজের গতি ঠিক থাকে। কাজের মনিটরিং ভালো হয়, কাজের ফলাফল ভালো হয়। কয়েকটি উপজেলায় ইজিপিপি (অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি) প্রকল্প বাদ দিয়েছি বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের (বিবিএস) সুপারিশে। যেখানে দারিদ্রের হার ২০ শতাংশের নিচে সেই উপজেলাগুলো আমরা তালিকা থেকে বাদ দিয়েছি। ওনারা (ডিসি) সেগুলো তালিকাভুক্ত করার অনুরোধ করেছিলেন। আমরা বলেছি, দেশ ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। যে উপজেলাগুলো উন্নত হবে সেগুলো থেকে আমরা ক্রমান্বয়ে ইজিপিপি প্রকল্প বাদ দেবো। পিছিয়ে পড়া উপজেলায় আমরা বেশি করে বিনিয়োগ করবো।
ডিসিরা ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং মুজিব কেল্লার সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছি। কারণ ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা মোকাবিলা করতে গিয়ে দেখেছি আশ্রয়কেন্দ্রের ঘাটতি রয়েছে। তারা আরও বলেছেন, প্রত্যেকটা আশ্রয়কেন্দ্রে যাতে রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম থাকে, যাতে বৃষ্টির পানি ধরে পান করার জন্য ব্যবহার করা যায়। দুই বছর আগে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, গত দুই বছরে যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো করা হয়েছে, সেগুলোতে এই ব্যবস্থা আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন