সম্পূর্ণ দেশীয় তহবিলে ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অবকাঠামো নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে হস্তান্তর করেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর। কির্তনখোলা নদীর অপর পাড়ে বরিশাল-কুয়াকাটা ও বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের পাশে প্রায় ৫০ একর জমির ওপর মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে বিশ^বিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি বরিশাল জেলা স্কুলের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে এ বিদ্যাপীঠের প্রথম শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ওই বছরই ফেব্রæয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী চরকাউয়া মৌজায় স্থায়ী ক্যম্পাসে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর জমি বুঝে নিয়ে ২০১৩ সালের মাঝামাঝি বরিশাল বিশ^বিদ্যালয় প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু করে। পরিপূর্ণ ডিজাইন ও মাটি পরীক্ষা করে দরপত্র আহবানসহ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি সম্পাদন করে কাজ শুরু করতেই আরো এক বছরের বেশি সময় চলে যায়। কির্তনখোলা তীরের নিচু ভ‚মি উন্নয়ন করে প্রকল্পটির কাজ শুরু করতে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি ঘন মিটার মাটি ফেলতে হয়েছে।
এছাড়া একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ^বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের রূপ দিতে ইতোমধ্যে ৬ তলা দুটি একাডেমিক ভবন এবং দুটি ৬ তলার প্রশাসনিক ভবন ছাড়াও ছেলে ও মেয়েদের জন্য ৫ তলার দুটি করে হল নির্মাণ করা হয়েছে। চারতলা লাইব্রেরী ভবন ছাড়াও ৫ তলার একটি সেন্ট্রাল ক্যাফেটারিয়া নির্মাণ করা হয়েছে।
এর বাইরে বিশ^বিদ্যালয়ে দৃষ্টিনন্দন একটি তিনতলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নির্মিত হয়েছে। ভিসির জন্য একটি দ্বিতল বাসভবন এবং অফিস ভবন ছাড়াও শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য ৫ তলার দুটি ডরমেটরি নির্মাণ কাজও সম্পন্ন হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিতরণ ব্যবস্থা নির্বিঘœ রাখতে ১ হাজার কেভিএ’র ট্রান্সফর্মারসহ একটি সাব-স্টেশন ভবন নির্মিত হয়েছে ক্যাম্পাসে।
৫০ একর এলাকার পুরো ক্যাম্পাসটির অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বজায় রাখতে এইচবিবি সড়ক নেটওয়ার্কে আনা হয়েছে। এছাড়া পুরো ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশাল গেটসহ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. সাদেকুল আরেফিন জানান, যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই নির্মাণ কাজসমূহ সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষক মন্ডলী ও ছাত্র-ছাত্রীরা নির্বিঘেœই শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বরিশাল বিশ^বিদ্যালয় দেশের অন্যতম একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণ করতে পেরে তার অধিদফতর গর্বিত। পুরো ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজের মান নিয়ে কোন ধরনের আপস করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন