দুই দিনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পাশাপাশি বৃহস্পতিবার থেকে ক্লাস ও পরিক্ষা বর্জনের ঘোষনার মধ্যেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করে বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে বিকেল ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উত্তেজিত বেশীরভাগ ছাত্রছাত্রীরা হলে অবস্থান কওে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিল। ক্যাম্পাসের সামনে পুলিশী নিরাপত্তা যোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমে নিয়ন্ত্রনে আসছে বলে রেজিষ্ট্রার দাবী করেছেন।
বুধবার মধ্যরাতের পরে রেজিষ্ট্রার ড. মোঃ হাসিনুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষা সহ সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি বিকেল ৫টার মধ্যে সব ছাত্রছাত্রীকে হল ত্যাগের নির্দেশের কথা জানান। ভিসি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৩’এর আওতায় তার ওপর অর্পিত ক্ষমতাবলে এ আদেশ জারী করেছেন বলে জানান হয়। প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথমবারের মত কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করল কতৃপক্ষ।
গত ২৬মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ভিসি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আহুত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছাত্রÑছাত্রীদের দাওয়াত না দেয়া সহ তাদেরকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে কটুক্তি করার প্রতিবাদে ঐদিন থেকেই বিক্ষেভ শুরু হয়। ছাত্রÑছাত্রীরা ক্যাম্পাস অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন সহ ভিসিকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার সহ ক্ষমা প্রার্থনারও দাবী জানায়। বুধবারও ক্যম্পাসে দিনভর বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচী অব্যাহত ছিল। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, বর্তমান ভিসি কোন জাতীয় অনুষ্ঠানে তাদের সম্পৃক্ত করেন না। কিছু ব্যাক্তি নিয়ে ‘গার্ডেন পার্টি’র আয়োজন করেন। এবারের স্বাধীনতা দিবসেরর অনুষ্ঠানেও ছাত্রÑছাত্রীদের সম্পৃক্ত না করে তাদেরকে উল্টো কটুক্তি করেন ভিসি।
এঘটনায় ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষনা করা হল। তবে বেশ কিছু ছাত্রÑছাত্রী আন্দোলন থেকে পিছ পা হবে না বলে জানিয়েছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বেশীরভাগ ছাত্রছাত্রীই ক্যাম্পাসে অবস্থান করছিল। বিপুল সংখ্যক পুলিশ ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান করছে। বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে কোন শিক্ষক যাননি, ক্লাসও হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন