মাঘের শুরু থেকেই উত্তরাঞ্চলের পদ্মানদী বিধৌত নাটোরের লালপুর উপজেলায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে ঘনকুয়াশা, হাড়কাঁপানো কনকনে শীত তার উপরে দিনব্যাপী গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। কনকনে শীত আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে জবুথুবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। অসহায় খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। ঘনকুয়াশা আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় গত দুদিন ধরে প্রায় সারাদিনই দেখা মেলেনি সূর্যের। হিমেল বাতাস, ঘনকুয়াশা, বৃষ্টি আর মেঘে সূর্য ঢাকা থাকায় শীতে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। শীত জেঁকে বসায় সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
রবিবার সারাদিন দেখা মেলেনি সূর্যের। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও হাড়কাঁপানো কনকনে শীতে শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঘনকুয়াশা আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় উপজেলার প্রধান সড়ক গুলিতে যানবাহন ছিলো কম। কিছু যানবাহন চলাচল করলেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। দিনে তাপমাত্রার পারদও ওঠানামা করছে। ফলে প্রতিদিনই শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে এই অঞ্চলের বয়স্ক ও শিশুরা। একটু উষ্ণতার পরশ নেওয়ার জন্য অনেক কে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। শীত থেকে বাঁচতে নিম্ন আয়ের মানুষরা ভিড় জমাচ্ছেন পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, ‘আগামী দুই-একদিন থাকতে পারে ঘনকুয়াশা।’ গত কয়েকদিনে শীতের দাপট বেড়ে যাওয়া কাজে যেতে না পারায় বন্ধ হয়ে গেছে অনেক নিম্ন আয়ের পরিবারের আয়-রোজগার।
কথা হয় অটো ভ্যান চালক আরিফুল ইসলামের সঙ্গে তিনি বলেন,‘কঠিন শীত তার উপরে সকাল থেকে কুয়াশা আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে খুব কষ্ট করে ভ্যান নিয়ে পেটের তাগিদে রাস্তায় বের হয়েছি। কিন্তু রাস্তায় তেমন যাত্রী নেই।’
কৃষি শ্রমিক কালাম জানায়,‘এখন এমনিতেই মাঠে কাজ কম তার উপরে কঠিন শীত ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণে বেড় হওয়াই মুশকিল। হাত পা ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে। আয় রোজগার নাই বললেই চলে। একই কথা বলছেন অনেকের।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ কে এম শাহাবুদ্দিন জানান,‘শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা একটু বেড়েছে।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী জানায়,‘উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন