কুমিল্লার তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা. সরফরাজ হোসেন খান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর থেকে চিকিৎসা সেবার চিত্র অনেকটাই পাল্টে গেছে বলে মন্তব্য করছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে সেবা নিতে আসা রোগীরা। তারা ডা. সরফরাজের আন্তরিক সেবায় সন্তুষ্টিও প্রকাশ করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডা. সরফরাজ যোগদানের পর থেকে স্বাস্থ্য সেবা, চিকৎসার মাননোন্নয়ন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশপাশে দূষনমুক্ত পরিবেশ তৈরি করাসহ প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা চলছে নিয়মিত। ওষুধ পেয়েও খুশি রোগীরা। এছাড়াও তিনি প্রতিনিয়ত রোগী দেখে থাকেন, তার এই অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল আজ তিতাসবাসী ভোগ করছেন। তিনি আসার পর পরই অপরেশন থিয়েটারটি চালু করা হয়েছে। তখন থেকে প্রতিনিয়ত ছোট বড় সব ধরনের অপারেশন করা হয়ে থাকে। ডাক্তারসহ সকল স্টাফদের সবসময় তাগিদ দিয়ে থাকেন যাতে কোন রোগীর চিকিৎসা সেবা ব্যহত না হয়। তিনি নিজেও প্রতিনিয়ত রোগী দেখেন এবং সেবা দিয়ে থাকেন। এছাড়াও ডা. সরফরাজ হোসেন খান যোগাযোগদানের পর থেকেই সকল স্টাফদের নিয়মিত দায়িত্ব পালন করতে তাগিদে রাখেন। সেবা দেয়ার জন্য কিছু দিন পূর্বেও এখানে ১৯ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স যোগদান করেছেন। এছাড়াও করোনাকালীন সময় থেকে আজ পর্যন্ত করোনা সম্মুখ যোদ্ধাদের মধ্যে তিনিও দায়িত্ব পালন করছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা শাহনাজ আক্তার বলেন, আমি ডাক্তার সাহেবের কাছে যাওয়ার পর বাবা যেমন নিজের মেয়ের সাথে আচরণ করেন তিনি আমার সাথে এমনই আচরণ করেছেন। তিনি আসলেই একজন সত্যিকারের সেবক। এছাড়াও ফাতেমা আক্তার বলেন, আমি প্রায় সময় আমার আত্নীয়-স্বজন নিয়ে এখানে চিকিৎসা নিতে আসি সবসময় হাসপাতাল থেকে ওষুধ পাই এবং আন্তরিক চিকিৎসা পাই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সরফরাজ হোসেন খান বলেন, আমি যতদিন এখানে আছি ততোদিন কোন অনিয়ম, দুর্নীতি হতে দিবো না। আমি আমার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবো যাতে রোগীরা এখানে এসে সন্তুষ্টি হয়ে যায়, কোন রকমের যেন হয়রানির শিকার না হয়। তিনি আরো জানান, গত বছর এই হাসপাতালে আউট ডোরে ৭৮৫০৩ জন ও জরুরি বিভাগে ১৩৪৩১ জন এবং ভর্তি রোগী ২৪২৯ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। ভবিষ্যতে আরও রোগী বাড়তে পারেন বলে ধারণা করেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন