শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

দুপচাঁচিয়ায় লেপ-তোষকের দোকানে বাড়ছে কারিগরদের ব্যস্ততা

প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা

প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে

দুপচাঁচিয়া উপজেলায় বইতে শুরু করেছে শীতের হাওয়া। দিনের গরমের সাথে সাথে সন্ধ্যার শুরুতেই পড়ছে কুয়াশা। হেমন্তের দিনগুলো শেষ হতে না হতেই শীতের বুড়ি এসে যেন জবরদখল করে নিচ্ছে উপজেলার আশেপাশের প্রকৃতি। দিনে গরম আর রাতে কুয়াশায় শীতল হাওয়া আর ভোর রাতের ঘন কুয়াশায় হাতছানি দিয়েই বলে দিচ্ছে শীত আসন্ন। তাই তো শীতের এ প্রভাব থেকে রক্ষার্থে সাধারণ মানুষ ভিড় করছে লেপ-তোষকের দোকানে। এখন এসব দোকানের কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছে। দেশের বিভিন্ন স্থানের চেয়ে উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রভাব সাধারণত একটু বেশি এবং তা অনেকটা দীর্ঘস্থায়ীত্বও হয়। তাই শীত আসার আগেই সাধারণ মানুষ সাধ্যমত প্রয়োজন অনুসারে গরম লেপ-তোষক তৈরি করে নেয়। অনেকে পুরাতন লেপ মেরামত করেও থাকে। এ কারণেই অন্যান্য সময়ের চেয়ে এসময় লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়ে যায়। গত ২৭ অক্টোবর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো এ উপজেলাতেও নি¤œ চাপের কারণে সারাদিন মেঘলা আকাশ ও থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে শীতের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ফলে উপজেলার লেপ তোষকের দোকানগুলোতেও কাজের চাপ অনেক বেড়েছে। উপজেলা সদরের শহর তলায় একতা শয্যালয়ের মালিক শেখ আইয়ুব আলী জানান, বছরের অন্যান্য সময় তাদের ব্যবসা প্রায় বন্ধ থাকে। সাধারণত কার্তিক মাসের শুরু থেকেই তাদের ব্যবসা শুরু হয়। এ সময় তারা লেপ-তোষক তৈরির পাশাপাশি বিছানার চাদর, বালিশ ও সোফার কভারসহ দরজা-জানালার পর্দার কাপড় বিক্রি করে থাকে। শিমুল ও কার্পাস তুলার মূল্য বৃদ্ধি ও দুষ্প্রাপ্যতার কারণে লেপ-তোষকে এ তুলা সাধারণত আর ব্যবহার হয় না। এখন সাধারণ মানুষ গার্মেন্টসের তুলা ও ঝুট দিয়ে লেপ-তোষক বানিয়ে নেয়। ভাল কভারসহ একটি লেপ তৈরি করতে প্রায় ১২ শত থেকে ১৫ শত টাকা খরচ হয়। বাজারে দেশী কম্বল অবাধে বিক্রি হওয়ায় এবং তুলা কাপড় সহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই তাদের জাত এ ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছে। এরপরও এখনও যারা তাদের পৈত্রিক এ ব্যবসা ধরে রেখেছে, তারাও এ প্রতিযোগিতার বাজারে টিকতে পারছে না। ফলে দিন দিন এ ব্যবসা সংকুচিত হয়ে আসছে। উপজেলায় শীতের আগমনী বার্তার সাথে সাথে হাতেগোনা লেপ-তোষকের যে কয়টি দোকান আছে সে দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ছে। লেপ তোষকের এই সব দোকানের করিগরদের ব্যস্ততায় মনে করে দিচ্ছে শীত আর বেশি দূরে নয়। অপরদিকে বৃত্তবানরা ছুটছেন বিপণী বিতান ও নামিদামি কাপড়ের মার্কেটগুলোতে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন