ফেনী স্টেশন সংলগ্ন রেললাইনের পাশে অবৈধ সিএনজি চালিত অটো গাড়ির স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছে একটি অসাধু সিন্ডিকেট। যেকোন মুহূর্তে সেখানে ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এটি দেখার যেন কেউ নেই। সরেজমিনে দেখা যায়, স্টেশনের দক্ষিণে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড সহদেবপুর রেলগেটের পাশে রেললাইন সংলগ্ন সিএনজি চালিত অটো গাড়ির অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট নেতারা। পাশে অনেকগুলো চা-দোকান, গ্যারেজ দোকান ও হোটেল রয়েছে। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিদিন রেললাইনের পাশ থেকে যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ওইসব গাড়িতে উঠছেন।
জানা যায়, এ রেলপথ দিয়ে প্রতিদিন ২৮টি ট্রেন চলাচল করে। কিন্তু সরকারি বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে রেললাইনের পাশে অবৈধভাবে গাড়ি চলাচলের রাস্তা ও স্ট্যান্ড তৈরি করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। বছরের পর বছর এ রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ছোট যান সিএনজি চালিত অটো ও ব্যাটারি চালিত রিকশা অবাধে চলতে দেখা যায়। পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন এ পথ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এসব বিষয় তদারকি করছেন না। এসব অনিয়মকে তারা প্রশ্রয় দেয়ার কারণে বছরের পর বছর ধরে এসব অপরাধ সংগঠিত হয়ে আসছে। নাম প্রকাশে অননিশ্চক স্থানীয় কয়েকজন জানান, সিএনজি অটো স্ট্যান্ডটি ৩ বছর আগে গড়ে তুলেছে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর। রেলওয়ের জায়গা দখল করে মাটি ফেলে ভরাট করে রাতারাতি এ অবৈধ স্ট্যান্ডটি গড়ে তুলেছেন তিনি। সে এ স্ট্যান্ড থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করেন বলে তারা জানান। এদিকে সিএনজি অটো চালকরা বলেন, পেটের দায়ে আমাদেরকে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গাড়ি চালাতে হয়। আমাদেরকে সিএনজি মালিক সমিতির অধীনে চলতে হয়। তারা যেখানে গাড়ির স্ট্যান্ড করে দেয় সেখানেই আমরা যাত্রী ওঠাই এবং নামাই। সেক্ষেত্রে তাদের নির্দেশের বাইরে চলার সুযোগ নেই। তারা বলেন, এ স্ট্যান্ডে ১০০ ওপরে সিএনজি অটো গাড়ি আছে। প্রতিদিন সদর উপজেলার কালিদহ, লস্করহাট, মোটবী, ছনুয়া ফাজিলপুরের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ফেনী শহরে আসা-যাওয়া করে। আমরা জানি রেললাইনের পাশে এ স্ট্যান্ডটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। তবুও আমাদেরকে জীবন-জীবিকার তাগিদে গাড়ি চালাতে হয়। লস্করহাটগামী যাত্রী বেলাল হোসেন, আনোয়ার ও সুজা মিয়া বলেন, আমাদেরকে প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে ফেনী শহরে আসতে হয় আবার যেতে হয়। এ স্ট্যান্ডটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের গাফেলতির কারণে রেলপথে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। তারা স্ট্যান্ডটি রেললাইনের পাশ থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিরাপদ জায়গায় দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
ফেনী রেলওয়ের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য্য) আতিকুল ইসলাম বলেন, রেলের জায়গায় গাড়ির স্ট্যান্ড করার সময় আমরা বাঁধা দিয়েছিলাম, কিন্তু একপ্রকার জোর করে স্ট্যান্ড করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আমরা পুরো স্টেশনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণের প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছি। এ ব্যাপারে টেন্ডার হয়েছে এবং নকশা হাতে এসেছে। কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন