শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

শ্রমবাজারের ২৫ সিন্ডিকেট থেকে সবাই মুক্তি চাই

সংবাদ সম্মেলনে রিক্রুটিং এজেন্সি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কথিত ২৫ সিন্ডিকেট প্রতিহত করতে প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেয়া হবে। শ্রমবাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বিগত দিনের দশ সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় আনতে হবে। ওই সিন্ডিকেট সরকার দেশ জাতির ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করছে। এরাই ২৫ সিন্ডিকেট করে মালয়েশিয়ার সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার কুক্ষিগত করতে চায়।
গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রিক্রুটিং এজেন্সির সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ ওইসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতান। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান ২৫ সিন্ডিকেটের পক্ষে গত ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহম্মেদর কাছে একটি পত্র প্রেরণ করেন যা খুবই দুঃখজনক।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার সকল রিক্রুটিং এজেন্সি যুক্ত থাকবে আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২৫ এজেন্সি সিন্ডিকেট এবং ২৫০ সাব এজেন্ট এর প্রস্তাব অনৈতিক, সমতার পরিপন্থী এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য চরম অবমাননাকর। একটি রিক্রুটিং এজেন্সি অন্য একটি সমমানের রিক্রুটিং এজেন্সির সাব এজেন্ট কোন অবস্থায়ই হতে পারে না।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ২৫ সিন্ডিকেটের প্রস্তাব গ্রহণ না করে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি সমূহকে মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণের অধিকারের কথা উল্লেখ করে গত ১৮ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রীর কাছে পত্র দিয়েছেন। বাংলাদেশ মালয়েশিয়া আসন্ন ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবটি সংযোজনসহ বাস্তবায়ন চাই। ২০১৮ সালে হাইকোর্ট মালয়েশিয়া অভিবাসন সেক্টরে কোন প্রকার সিন্ডিকেট করা যাবে না এই মর্মে রায় প্রদান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এসব সিন্ডিকেট চক্রের অপতৎপতা যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে। দেশের সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি সরাসরি ডাটা ব্যাংক থেকে লোক নিয়োগ করলে কম খরচে মালয়েশিয়া (সিন্ডিকেট মুক্ত) কর্মী প্রেরণ করা সম্ভব। একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা সরকার ও দেশের স্বার্থে অপরিহার্য।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ বিমান এয়ার টিকিট অযৌক্তিকভাবে ২/৩ গুন ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। বিদেশি এয়ার লাইন্স সমূহ বাংলাদেশ বিমানকে অনুসরণ করে ২/৩ গুন ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। আর্থিক দিক থেকে মারাত্মকভাবে শোষিত হচ্ছেন বিদেশগামী অসহায় প্রবাসী কর্মীরা। যেহেতু বাংলাদেশ বিমান মাত্র ১০% থেকে ১৫% যাত্রী বহন করে এই সুযোগে বিদেশি এয়ারলাইন্স সমূহ ২ থেকে ৩ গুন বেশি ভাড়া বাড়িয়ে বৈদেশিক রেমিট্যান্স টিকিটের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
বাংলাদেশ বিমানের অযৌক্তিক মুনাফা লাভের কারনেই মূলত দেশের হাজার হাজার কোটি ডলার কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলো ভাড়ার মাধ্যমে দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিমানসহ মধ্যপ্রাচ্যগামী এয়ারলাইন্স সমূহকে চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট থেকে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রবাসী কর্মীদের জন্য বাংলাদেশ বিমানসহ সকল এয়ারলাইন্সে লেবার ফেয়ার নির্ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশকে ওপেন স্কাই ঘোষণা ও বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স সমূহকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সঙ্কটের স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ উল্লেখিত সঙ্কট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুক, বায়রার সাবেক ইসি সদস্য মোহাম্মদ আলী, মোস্তফা মাহমুদ, গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, আরিফুর রহমান, মো. সাইফুল ইসলাম, রেহানা পারভীন, লিমা বেগম, হাবের নেতা মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, আব্দুল মতিন, আব্দুর রহিম, খলিলুর রহমান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন