শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ইসি গঠনে উত্থাপিত আইনটি অসম্পূর্ণ

সংসদে রাশেদ খান মেনন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, সরকার দেরিতে হলেও নির্বাচন কমিশন নিয়োগের আইন এনেছে। কিন্তু আইনটি অসম্পূর্ণ এবং এটা সংশোধন করতে হবে। নাহলে বিতর্ক অব্যাহত থাকবে।
জাতীয় সংসদে গতকাল প্রেসিডেন্টের ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, সংবিধান পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। সংবিধান পর্যালোচনায় ধর্মীয় রাজনীতি থেকে শুরু করে সব বিষয়ে আমরা নতুন করে ভাবতে পারবো। সংবিধানের ৭০ বিধি প্রশ্নে সংবিধান সংশোধন অতীব জরুরি।

মেনন বলেন, বিএনপি নেতারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, মনোনয়ন বাণিজ্য, অর্থ, ধর্ম ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপমুক্ত নির্বাচনী ব্যবস্থার কথা বলেন না। কারণ তারা এই ব্যবস্থাই বহাল রাখতে চান। আমাদের বাম দাবিদার বন্ধুরা নির্বাচনী সংস্কারের কথা বললেও তাদের মূলদাবি এখন নির্বাচনকালীন সরকার। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সরাসরি, কেউবা যুগপৎ সমন্বিত আন্দোলনের নামে বিএনপির সঙ্গে শরিক হবে সেই আলামতও স্পষ্ট।

প্রেসিডেন্টের ভাষণের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট সরকারের উন্নয়নের বিশদ বর্ণনা করেছেন। সরকারের প্রণীত এই ভাষণে প্রশাসন, রাষ্ট্র ও জনজীবনের সমস্যা নিয়ে প্রেসিডেন্ট সরস মন্তব্যে কঠিন সত্যগুলো থেকে মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন। ভাষণে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের কোনো কথা উল্লেখ নেই। করোনার সময়েও আমাদের দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ ধনী হয়েছেন। আবার বিপুল সংখ্যক দরিদ্র হয়েছেন।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, দুর্নীতিতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার নিচের দিকে থেকে কেবল আফগানিস্তানের ওপরে আছে। এজন্য নিশ্চয়ই আমরা লজ্জিত। প্রধানমন্ত্রী এই সংসদে বলেছিলেন ফুয়েল না দিলে ফাইল নড়ে না। এখন সেই দুর্নীতির ফুয়েলের দাম এতই বেড়েছে যে ফাইল নড়ানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। অর্থমন্ত্রীর কাছে অর্থ পাচারকারীর তালিকা চাওয়ার পর উল্টো উনি এই তালিকা এমপিদের কাছে চেয়েছেন। যেন এমপিরা অসত্য কথা বলেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন