মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন
বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা প্রায়ই একটি সমস্যাগ্রস্ত দলের সম্মুখীন হন যাদের সাধারণ ভাষায় দুষ্ট, চঞ্চল, অতিরিক্ত কর্মতৎপর প্রভৃতি হিসেবে সনাক্ত করা হয়। এসব শিশুদের অসামঞ্জস্যতা ও আক্রমণাত্মক আচরণ, রাগ, ক্রোধ, উত্তেজনা প্রবণ মেজাজ সব কিছুই শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে। ফলে শিক্ষকদের পক্ষে শ্রেণীকক্ষ পরিচালনা কষ্টকর ও শ্রমসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এ ধরনের সমস্যাগ্রস্ত শিশুদের মনোবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় আবেগীয় সমস্যাগ্রস্ত বা উপযোজনে অসুবিধাগ্রস্ত শিশু। আবেগীয় সমস্যাগ্রস্ত শিশুদের মাঝে সাধারণত যে সকল বৈশিষ্ট্য দেখা যায় সেগুলো হলো-
প্রথমত- এসব শিশু নিজেদের ¯েœহ ভালোবাসাহীন, অবাঞ্ছিত হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। তারা মনে করে তারা অধিকারহীন এবং সব সময় তাদের প্রতি অন্যায়ভাবে অবিচার করা হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত- এসব শিশুর বিভিন্ন গ্রন্থির বিকাশ যথাযথ না হওয়ার ফলে এদের পরিপূর্ণ শারীরিক বিকাশ ঘটে না। এরা প্রায়ই টনসিল, দাঁতের সমস্যা, সর্দিকাশি প্রভৃতি রোগে ভোগে।
তৃতীয়ত- এদের মধ্যে স্বল্প মাত্রায় যুক্তিক্ষমতা, উদ্বেগ, নিউরোসিস, সন্দেহ প্রবণতা, হিস্টেরিয়া, ¯œায়ুবিক টেনশন বিভিন্ন প্রকার কাম-ক্রোধ, আত্মপ্রেম, সমকামিতা এবং অন্যান্য ধরনের জটিলতা দেখা দেয়।
চতুর্থত- সাধারণত দরিদ্র, ভগ্ন পরিবার খারাপ বন্ধু এবং নেতিবাচক সামাজিক পরিবেশের কারণে শিশুদের মাঝে এ ধরনের অসুবিধা দেখা দেয়। আবার উচ্চ আর্থ সামাজিক পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত সংরক্ষণ, প্রশয় ও অতৃপ্তির ফলেও শিশুদের মাঝে আবেগীয় সমস্যা দেখা দেয়।
পঞ্চমত- এদের স্কুল জীবনের ইতিহাস বিভিন্ন রকমের তিক্ত অভিজ্ঞতাপূর্ণ। এসব অভিজ্ঞতার মধ্যে রয়েছে চুরি, মারামারি ইত্যাদি। এদের শিক্ষার মান খুবই নি¤œমানের হয়ে থাকে। স্কুল এবং শিক্ষকদের প্রতি তাদের ঘৃণা এবং নেতিবাচক মনোভাবের বিকাশ ঘটে। এদের মাঝে স্কুল পালায়ন এবং স্কুল পরিবর্তনের প্রবণতা খুব বেশি দেখা যায়। এদের বন্ধু-বান্ধবদের সংখ্যা খুবই কম থাকে এবং এদের মধ্যে ভালো বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মিলা মেশার আগ্রহ দেখা যায় না। বিভিন্ন ধরনের বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ উপাদানের কারণে একটি শিশু আবেগীয়ভাবে সমস্যাগ্রস্ত হয়ে থাকে।
যারা এসব শিশু নিয়ে কাজ করেন তাদের সমস্যার কারণ সর্ম্পকে ধারণা ও পর্র্র্যাপ্ত জ্ঞান থাকা অবশ্যক। আবেগীয় সমস্যা সৃষ্টিকারী প্রধান, প্রধান কারণগুলো হলো-জৈবিক কারণ, মানসিক কারণ, পারিবারিক কারণ, সামাজিক ও পরিবেশগত কারণ, মেজাজগত কারণ এবং অর্থনৈতিক কারণ।
অনেক সময় শারীরিক সমস্যার কারণে আবেগীয় সমস্যা দেখা দেয়। অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির পরিবর্তন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, দীর্ঘ দিনের রোগ, শারীরিক চাপ, অপুষ্টি প্রভৃতি শারীরিক কারণে আবেগীয় সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। এ ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে শিশুদের মাঝে প্রচ- মেজাজ, রাগ এবং আক্রমণাত্মক আচরণের তীব্র প্রকাশ, কলহ, উত্তপ্ত বাদানুবাদ প্রভৃতি আচরণ পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। বিভিন্ন মানসিক অবস্থা, যেমন: উদ্বেগ, হতাশা, ব্যর্থতা প্রভৃতি আবেগীয় উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য দায়ী। আবেগীয়ভাবে সমস্যা যুক্ত হওয়ার ফলে এসব শিশুদের মাঝে নি¤œমানের গাণিতিক দক্ষতা, শিখন প্রতিবন্ধীত্ব, ভাষার সমস্যা এবং বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের সাথে উপযোজনে সমস্যা দেখা যায়। পরিবারের আবেগীয় এবং অর্থনৈতিক পরিবেশ শিশুর আবেগীয় সুস্থতা নির্র্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পিতা-মাতার মধ্যে সব সময় কলহপূর্ণ সম্পর্ক উদ্বেগ এবং তাদের আবেগীয় সমস্যাপূর্ণ জীবন-যাপনের ধরণ শিশুদের আবেগের বিকাশ ব্যপকভাবে প্রভাবিত করে। এর ফলে এ সব শিশুদের মধ্যেও বাবা-মার মত অনাকাক্সিক্ষত আবেগের বিকাশ ঘটে। একইভাবে ভগ্ন পরিবার বা আবেগীয়ভাবে অস্বাস্থ্যকর পারিবারিক পরিবেশের কারণে শিশুরাও আবেগীভাবে অসুস্থ হয়ে থাকে। বিপরীতে, একটি শিশু যদি সুস্থ ও সুন্দর পারিবারিক পরিবেশ পর্যাপ্ত ¯েœহ-ভালোবাসা এবং ভৌত সুযোগ-সুবিধা পেয়ে বড় হয় তা হলে তার আবেগীয় ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। একটি শিশুর ব্যক্তিত্ব তার চার পাশের পরিবেশ দ্বারা অনুকূল কিংবা প্রতিকূলভাবে প্রভাবিত হয়ে থাকে। শিশু যে পরিবেশে বড় হয় তা যদি বর্ণ, বৈষম্য, নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার অভাব, ভাষাগত পার্থক্য, কৃষ্টিগতভাবে নিষেধাজ্ঞাপূর্ণ হয় এবং তার আশে-পাশের যে সব মানুষের সাথে মেলামেশা করে সেসব মানুষ যদি রাগী, আক্রমণাত্মক, সন্দেহপ্রবণ, অপরাধপ্রবণ, দুশ্চিন্তাযুক্ত হয় তাহলে তার মধ্যে, স্বাভাবিক ও সুন্দর ব্যক্তিত্ব গড়ে উঠে না। এছাড়া, যে স্কুলে শিশু যায় তার প্রতিকূল আবহাওয়া এবং শিক্ষকদের অনাকাক্সিক্ষত আচরণ, কলুষিত রাজনীতি, এক ঘেঁয়েমিপূর্ণ শিক্ষা পদ্ধতি, পক্ষপাতিত্ব, বিশৃঙ্খলা ইত্যাদি শিশুর মাঝে অসামাঞ্জস্যপূর্ণ আবেগের বিকাশ ঘটিয়ে থাকে। অনেক শিশু আছে যারা সমাজ-পরিবার, এবং চারিপাশের পরিবেশ থেকে পর্যাপ্ত মনোবৈজ্ঞানিক নিরাপত্তা এবং ¯েœহ থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে। ফলে তারা বিভিন্ন ধরনের মানসিক অসুস্থতা যেমন:- বৃদ্ধাঙ্গুল চোষা, উত্তেজনা, অধৈর্য, বিছানায় প্রসাব করে দেয়া, আচরণের ভারসাম্যহীনতা প্রভৃতি দ্বারা প্রচ-ভাবে প্রভাবিত হওয়ার কারণে আবেগীয়ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। আবেগীয় অস্থিরতার একটি প্রধান কারণ হল অর্থনৈতিক অবস্থা। সাধারণত সচ্ছল পরিবারের শিশুদের চেয়ে দরিদ্র পরিবারের শিশুদের মধ্যে আবেগীয় ভারসাম্য অপেক্ষাকৃত কম দেখা যায়। উল্লেখ্য যে, শুধুমাত্র একটি কারণের জন্য আবেগীয় সমস্যা হয় না। অনেক সময় একাধিক কারণ একত্রিত হয়ে আবেগীয় সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে।
আবেগীয় সমস্যাগ্রস্ত শিশুদের শিক্ষা পরিকল্পনা : যে সকল পরিকল্পিত শিক্ষামূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে এসব শিশুদের আচরণ পুনর্গঠিত করা যায় সেগুলো হল-
একজন স্কুল পরামর্শদাতা নিয়োগ করা, যাতে করে তিনি শ্রেণি শিক্ষকদের সহায়তা করতে পারেন।
শিক্ষকদের মনোবিজ্ঞানী এবং ডাক্তারদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় উপদেশ এবং নির্দেশনা নেয়া উচিত।
সংস্কারমূলক কৌশল প্রয়োগের জন্য বিশেষ ক্লাশ, বিশেষ স্কুল স্থাপন এবং সরকার প্রণীত তত্ত্বাবধানে স্কুল স্থাপন করা।
আবেগীয় সমস্যা দূর করার জন্য যোগ্য শিক্ষক, শ্রবণ দর্শনগত উপকরণ ও অন্যান্য ভালো শিক্ষামূলক উপকরণের ব্যবস্থা করা।
শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য : শ্রেণীকক্ষে আবেগীয়ভাবে সমস্যাযুক্ত শিশুর উপস্থিতি, শ্রেণিকক্ষের পরিবেশকে বিপন্ন করে। সে জন্য শিক্ষকের উচিত সমস্যাযুক্ত শিশুর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়া এবং শ্রেণি কক্ষের পরিবেশ উৎফুল্ল, সুসামঞ্জস্য ও সহযোগীমূলক রাখা। শ্রেণি শিক্ষকরা যদি আকর্ষণীয় নির্দেশনা উদ্দীপনামূলক শ্রেণির কাজ, বিভিন্ন সহ-পাঠ্যক্রম কার্যাবলীর ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালনা করতে পারেন, তবে শিশুদের মাঝে আবেগীয় সমস্যা অপেক্ষাকৃত কম পরিলক্ষিত হবে। শিক্ষকদের উচিত আবেগীয় সমস্যাগ্রস্ত শিশুদের যথাসাধ্য বুঝতে ও সহায়তা করার চেষ্টা করা। এসব শিশুদের আচরণের পরিবর্তনের জন্য তারা সেসব সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিতে পারেন সেগুলো হল- অন্তদৃষ্টির বিকাশ, সমস্যাযুক্ত পরিবেশ থেকে দূরে রাখা, আবেগীয় প্রতিরোধ ক্ষমতার বিকাশ, নিঃসরণ, খেলাধুলার মাধ্যমে আবেগীয় শিক্ষা এবং বিশেষ ক্লাশের ব্যবস্থা করা। অসুবিধাগ্রস্ত শিশুদের মাঝে অন্তদৃষ্টির বিকাশের মাধ্যমে সমস্যা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি, স্থান বা ঘটনার প্রতি যুক্তিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা, সমস্যা সৃষ্টিকারী পরিস্থিতির ইতিবাচক এবং মুখ্য দিকের প্রতি মনোযোগী করে সেসব পরিস্থিতির প্রতি তাদের উন্নত ও সামাজিকভাবে আকাক্সিক্ষত ও যুক্তিপূর্র্ণ দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে সহায়তা করা উচিত। যে পরিস্থিতি বা পরিবেশ শিশুর মাঝে আবেগীয় সমস্যার সৃষ্টি করে সেই পরিবেশ থেকে দূরে সরিয়ে নতুন বিদ্যালয়ের কিংবা বিদ্যালয়ের এক শাখা থেকে অন্য শাখায় স্থানান্তরিত করা হলে তা তাকে নতুন ব্যক্তি ঘটনা বা পরিস্থিতির সাথে পুন: অভিযোজনে উৎসাহী করে তোলে। অনেক সময় আবেগীয়ভাবে বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা বা পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি পরিচিতি এরূপ পরিস্থিতি পরিহার করার মাধ্যমে আবেগীয় অস্থিরতাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যদি শিশু অনাকাক্সিক্ষত ব্যক্তি স্থান বা ঘটনার সাথে ক্রমাগত সংস্পর্শে আসে তখন সে সব পরিস্থিতির প্রতি তার সংবেদনশীলতা হ্রাস পায়। সংবেদনশীলতা হ্রাসের ফলে তার প্রাথমিক আবেগীয় সমস্যাগ্রস্ত প্রতিক্রিয়াও অনেকাংশে দূর হয়ে যায় এবং অনাকাক্সিক্ষত আবেগ সৃষ্টিকারী উদ্দীকের প্রতি শিশু প্রতিরোধক্ষম হয়ে উঠে। নিঃসরণ অর্থহল শুদ্ধিকরণ বা মুক্তি। যে কোন আবেগীয় সমস্যা সাধারণত মানসিক দুশ্চিন্তা বা চাপ থেকে হয়ে থাকে। ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ চাপ প্রকাশের উপযুক্ত পথ নির্ধারণের মাধ্যমে এরূপ আচরণ দূর করা সম্ভব। প্রচ- আক্রমানাত্মক শিশু যদি সামাজিকভাবে অনুমোদিত বিভিন্ন পন্থা, যেমন- মুক্ত আলোচনা, মুষ্ঠিযুদ্ধ, কুস্তি, বির্তক প্রভৃতির মাধ্যমে তার রাগকে প্রকাশ করতে পারে তাহলে তার আধিকাংশ আচরণই শান্ত ও স্বাভাবিক হয়ে থাকে। শিশুদের অতিরিক্ত শক্তিকে যদি পর্যাপ্তভাবে এবং আকাক্সিক্ষত পন্থায় প্রকাশের সুযোগ দেয়া হয় তবে এই শক্তি আবেগীয় সমস্যা কিংবা অন্যান্য সমস্যাগ্রস্ত আচরণের দিকে পরিচালিত হতে পারে না। খেলাধুলা এবং অভ্যন্তরীণ ও বহিরাঙ্গনে চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থা শিশুর সুস্থ আবেগীয় বিকাশে সহায়ক এবং শিশুর ব্যক্তিত্বের উপর এর প্রশান্তিময় ও শিক্ষামূলক প্রভাব পড়ে থাকে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আবেগীয়ভাবে অসুস্থ শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খেলা ধুলা, সহ পাঠ্যক্রমিক কার্যাবলী এবং ক্রীড়ামূলক ক্রিয়াকলাপে অংশ গ্রহণে উৎসাহিত করতে পারেন। ফলে শিশুদের আচরণের কাক্সিক্ষত পরিবর্তন হবে। আবেগীয়ভাবে অসুস্থ শিশুদের সহায়তা করার জন্য বিশেষ ক্লাশের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি শ্রেণিতে এরূপ শিশুর সংখ্যা সীমিত হতে হবে যাতে করে প্রতিটি শিশু শিক্ষকের স্বতন্ত্র মনোযোগ পেতে পারে। শ্রেণি কক্ষে সহযোগিতামূলক এবং সহানুভূতি সম্পন্ন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে এবং তাদেরকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।
তবে মারাত্মকভাবে আবেগীয় সমস্যাগ্রস্ত শিশুদের জন্য প্রয়োজন বিশেষ নির্দেশনা ও চিকিৎসা। বেশির ভাগ স্কুল শিক্ষকেরই এসব শিশুদের আবেগের সমস্যা অনুধাবন করা এবং তাদের সাথে সেরূপ আচরণ করার কোনো বিশেষ প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা নেই। সে কারণে শিক্ষকদের উচিত মারাত্মকভাবে অসুবিধাগ্রস্ত শিশুদের যথাযথ চিকিৎসা এবং পরীক্ষার জন্য শিশু নির্দেশনা চিকিৎসালয়ে পাঠানো।
বিদ্যালয়ে আবেগীয় সমস্যাগ্রস্ত শিশুদের প্রতি সহানুভূতিপূর্ণ ব্যবহার এবং বিশেষ মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন। এদের প্রতি অবহেলা বা অপর্যাপ্ত হস্তক্ষেপ করা হলে তা তার অসুবিধাকে আরো গুরুতর করে তুলতে পারে। সে কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য বুঝতে হবে এবং তাকে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে এসব শিশুদের গতিশীলতা বোঝা, তাদের সাথে সুন্দর ও সহানুভূতিশীল আচরণ করা কিংবা তাকে কোনো বিশেষ প্রতিষ্ঠান বা মনোচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া বা শিশু নির্দেশনা ক্লিনিকের সন্ধান দিয়ে সহায়তা করা। তাদের জন্য নতুন কিছু উপকার করতে পারলেই সার্থক হবে শিক্ষকের প্রাপ্তি এবং প্রত্যাশা। শিক্ষকের এতটুকু উপকারে তারাও সমাজে সক্ষমভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে এবং এ পৃথিবীটাকে আরো সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারবে।
ষ লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন