আলী এরশাদ হোসেন আজাদ
মহান আল্লাহ্র বাণীর নিত্যতা আবারো প্রমাণিত হলো “নিশ্চয়ই ইসলামই আল্লাহ্ মনোনীত একমাত্র ধর্ম” (আল-ইমরান : ১৯)। বিশ্বসংস্থা জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক অঙ্গসংগঠন ইউনেস্কোর ঘোষণা : ‘বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ধর্ম ইসলাম’। সংগঠনটির মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা স্বাক্ষরিত CERTIFICATE OF PEACE--এ বলা হয় : On the 4th day of July 2016, we declare that ISLAM is the most peaceful religion of the world.. (বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ধর্ম হলো ইসলাম)। তুরস্কের এক তরুণ চিত্রশিল্পীর ডিজাইন করা এই সুদৃশ্য সনদে ইউনেস্কো এবং International peace foundation--এর মনোগ্রাম ব্যবহৃত হয়েছে।
আশার কথা, ইউনেস্কো ঘোষণার ফলে যারা ইসলামকে জঙ্গিবাদ, রক্তারক্তি ও সন্ত্রাসের ধর্ম হিসেবে অপপ্রচার চালিয়ে খুশি হন তাদের জিহ্বা সামান্যতম হলেও সংযত হবে। ছয় মাস আগে থেকেই টঘঊঝঈঙ এবং ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঢ়বধপব ভড়ঁহফধঃরড়হ যৌথভাবে পৃথিবীর প্রধান সবগুলো ধর্ম নিয়ে জরিপ, গবেষণা শুরু করে। এমন গবেষণা কাজের লক্ষ্য ছিল বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ধর্ম কোন্টি তা খুঁজে বের করা। গভীর চিন্তা, গবেষণার পর সিদ্ধান্ত হলো যে, ‘বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ধর্ম হলো ইসলাম’। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঢ়বধপব ভড়ঁহফধঃরড়হ-এর প্রধান রবার্ট ম্যাকগি ঘোষণা করেন : ওঝখঅগ রং ঃযব সড়ংঃ ঢ়বধপবভঁষ ৎবষরমরড়হ ড়ভ ঃযব ড়িৎষফ। সংবাদ সম্মেলনে টঘঊঝঈঙ-এর কর্মকর্তাগণও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা অকপটে ঘোষণা করেন যে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক হামলা-হাঙ্গামার সঙ্গে ইসলাম ধর্মের কোনো যোগসূত্র বা সম্পর্ক নেই। ইউনেস্কোর কর্মকর্তাগণ বলেন, সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের কোনো ধর্ম নেই। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ব্যাপক বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গিতে বলা যায় ইসলাম অর্থ শান্তি। ইউনেস্কো আনুষ্ঠানিক এই স্বীকৃতিপত্রটি উৎসাহী মুসলমানদেরকে সরবরাহ করবে। সনদটি মসজিদ, মাদরাসা, ইসলামী গবেষণা কেন্দ্র, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে প্রদর্শন করা যাবে।
ইউনেস্কোর স্বীকৃতি ইসলাম ও মুসলমানের জন্য অহঙ্কারের নতুন তকমা। ইউনেস্কো ঘোষণার পর তিব্বতের ধর্মীয় নেতা দালাইলামা অন্যান্য ধর্মগুলোকে ইসলামের কাছ থেকে শান্তির শিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ‘আর কী করে অহিংস এবং অপরের প্রতি সহনশীল থাকা যায় সে চেষ্টা অব্যাহত রাখতে বলেছেন’। বিশ্ববরেণ্য রাজনীতিবিদ ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ইউনেস্কো ঘোষণা ও সনদকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে ইসলামের দৃষ্টিতে ইউনেস্কো ঘোষণা ও সনদের আলাদা কোনো গুরুত্ব নেই। কেননা, ঐতিহাসিকভাবে সর্বজন স্বীকৃত, ইসলাম শান্তির ধর্ম। বিশ্বের আধুনিকতম এবং সর্বশেষ ও সর্বশেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম। কাজেই, ইউনেস্কোর নতুন করে সনদ দেয়ার তেমন কোনো প্রয়োজন আছে কি?
বরং মহান আল্লাহ্ মনোনীত একমাত্র ধর্ম ইসলামের উদ্দেশ্যই হলো মানুষের জীবনের সর্বস্তরে অনাচার-অত্যাচারের স্থলে সাম্য-শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। জুলুম বা অন্যায়-অত্যাচার ইসলামের আদর্শ নয়। পবিত্র কুরআনের বিঘোষিত নীতি ‘লা তাজলিমুনা ওলা তুজলামুন’ অর্থাৎ “অন্যের ওপর অত্যাচার করো না, তোমাদের ওপরও অত্যাচর করা হবে না” (বাকারা : ২৭৯। অন্যায়-অপরাধ দমনে ইসলামের বিঘোষিত কৌশল প্রসঙ্গে প্রিয়নবী (সা.) বলেন “তোমাদের মধ্যে কেউ সমাজবিরোধী অন্যায় ও গর্হিত কাজ হতে দেখলে সে যেন তা শক্তি প্রয়োগে প্রতিহত করে। শক্তি প্রয়োগে সক্ষম না হলে যেন সদুপদেশ দ্বারা প্রতিবিধান করে এবং তাতেও সক্ষম না হলে যেন তা আন্তরিকভাবে ঘৃণা করে। আর এটাই হলো দুর্বলতম ঈমানের প্রকাশ” (বুখারি-মুসলিম)। কাজেই, সব অনাচার, কদাচার, মানবতা পরিপন্থী ঝুঁকি মোকাবিলায় শাসকগোষ্ঠীর দায়িত্ব হলো সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করা। সুশীলসমাজ তথা জ্ঞানী-গুণী বুদ্ধিজীবীদের কর্তব্য হলো বাচনিক প্রক্রিয়ায় সত্যের পক্ষ অবলম্বন ও সত্য উদঘাটনে সোচ্চার হওয়া এবং সাধারণ মানুষের উচিত হত্যাসহ সব অন্যায় কর্মকা-কে অন্তর থেকে তীব্র ঘৃণা করা।
ইউনেস্কো ইসলামেকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ধর্ম’ ঘোষণার সার্বিক পটভূমিতে বিশ্বে ঐক্য ও শান্তি-সংলাপের তাৎপর্য সম্পর্কে আলোকপাত করা জরুরি। কেননা, মানবতা ও নৈতিকতার কোনো স্তরেই ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ বা রক্তপাত সমর্থনযোগ্য নয় অথচ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনায় ইসলামের শান্তিময় ঐতিহ্য ম্লান ও মলিন হচ্ছে। ধর্মের অপব্যাখ্যা ও ব্যবহারের মাধ্যমে জনজীবনে যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে তার অন্যতম কারণ : পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রতি বিদ্বেষ, দেশি-বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতা, অবৈধ অর্থ-অস্ত্রের জোগান, বেকারত্ব, ব্যক্তিগত হতাশা, শিথিল পারিবারিক বন্ধন, অতি ভোগবাদী দৃষ্টিভঙ্গি, মিথ্যা প্রলোভন, মাদকাসক্তি, অপশিক্ষা, অর্ধশিক্ষার বিরূপ প্রভাব ইত্যাদি। অথচ সত্য কথা হলো, এক পাক্ষিক হটকারী ও গোপন কূটকৌশল ইসলামের দর্শন নয়। বরং ইতিহাস বলে, ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শান্তি ও সংলাপের পথে। ‘তাওহিদ, রিসালাত ও আমলে’র ধারায় সমন্বিত আধ্যাত্মিকতা, ইবাদত, আখলাক, ইখলাস, দোয়া, দাওয়াৎ-ই-তাবলিগ, মানবসেবা, বিশ্বজনীনতা, মুসলিম ভ্রাতৃত্ব ইত্যাদি চেতনার কারণে ইসলামকে বলা হয় ‘শান্তির ধর্ম’। সারা দুনিয়াই যেন ইসলামের ইবাদতের জন্য বিস্তৃত গালিচাসদৃশ। প্রিয়নবী (সা.) বলেন, “সহজ কর, কঠিন করো না; সুসংবাদ জানিয়ে আহ্বান কর ভীতি প্রদর্শন করে তাড়িয়ে দিও না” (বুখারি)।
বর্তমানে বিশ্ব বিস্তৃত সন্ত্রাস একটি গুরুতর বিষয়। এ সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন ইসলামী শিক্ষা ও অনুশাসনের ব্যাপক চর্চা-পৃষ্ঠপোষকতা, সামাজিক সচেতনতা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, অর্ধশিক্ষা-অপশিক্ষার কুফল প্রতিরোধ ইত্যাদি। কেননা, গায়ের জোরে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অন্যদিকে ইসলামের ‘জিহাদ’ হলো একটি আত্মরক্ষামূলক কৌশল ও মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত। জিহাদ শব্দের অর্থ হলো চেষ্টা, সাধনা, কঠোর পরিশ্রম ও সর্বশক্তি নিয়োগ। জিহাদের শিক্ষা হলো ঝঃৎঁমমষব ভড়ৎ বীরংঃবহপব (টিকে থাকবার সংগ্রাম) যার উদ্দেশ্য হলো শান্তি, স্বাধীনতা, দেশ ও ধর্মের স্বার্থসংরক্ষণ এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানো। প্রতিপক্ষের সশস্ত্র আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য নিরুপায় ও সবশেষ অবলম্বন হলো ‘কিতাল’ যা জিহাদের চরম ও চূড়ান্ত স্তরÑ যা হলো চাপিয়ে দেয়া অন্যায় প্রতিরোধের জন্য ‘বাঁচার লড়াই’।
‘শান্তির ধর্ম’ ইসলাম শুধু আত্মরক্ষা ও অস্তিত্বের লড়াইকে সমর্থন করে। প্রিয়নবীর (সা.) ‘মাক্কী জীবন’ (হিজরত পূর্বকাল : ৬১০-৬২৩ খ্রি.) ছিল আত্মসংযম ও আত্মপ্রশিক্ষণের। প্রতিপক্ষের আঘাতে তিনি (সা.) হয়েছেন রক্তাক্ত তবু তিনি ওদের অমঙ্গল কামনা না করে বরং কেঁদে কেঁদে ওদের হেদায়েত ও ইসলামের জন্য আল্লাহ্র সাহায্য কামনা করেছেন। তাইতো শান্তির পথ চলায় হিজরি ৬ষ্ঠ সালে মুসলমানদের সংখ্যা ছিল যেখানে ১৪০০ জন, সেখানে হুদাইবিয়ার সন্ধির (যুদ্ধ নয় শান্তি চুক্তি) কারণে ৮ম হিজরিতে ‘মক্কা বিজয়ে’র সময় মুসলমানদের সংখ্যা দাঁড়ায় দশ হাজার। দশম হিজরিতে ‘বিদায় হজ্বে’র সময় আরাফাতেই উপস্থিত ছিলেন কয়েক লাখ মুসলমান।
আকস্মিক, বিচ্ছিন্ন ও গোপন কূটকৌশল ইসলামের আদর্শ নয়। কেননা, মহান আল্লাহ্ বলেন, “তোমার প্রতিপালকের রাস্তায় প্রজ্ঞার সঙ্গে এবং উত্তম উপদেশের মাধ্যমে (মানুষকে) আহ্বান কর” (নাহল : ১২৫)। ইসলামের দৃষ্টিতে অনাচার, অন্যায় তৎপরতা মহাপাপ। আবার ন্যায়সঙ্গত কারণ ও আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া কাউকে মেরে ফেলার অনুমতি ইসলাম দেয় না। পবিত্র কুরআনের স্পষ্ট ঘোষণা “কোনো নর হত্যা কিংবা পৃথিবী বা সমাজে বিপর্যয় সৃষ্টির কারণে বিচারের রায় ছাড়া যদি কেউ কোনো মানুষকে হত্যা করে, তাহলে সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল” (মায়েদা : ৩২)। অন্যদিকে ফিৎনা-ফ্যাসাদ শুধু অশান্তি ও নিরাপত্তাহীন উদ্বেগজনক পরিবেশ তৈরি করে, যা কারো কাম্য হতে পারে না। কেননা, মহান আল্লাহ্ বলেনÑ “ফিৎনা-ফ্যাসাদ হত্যার চেয়েও জঘন্য” (বাকারা : ১৯১)।
জীবনের সবক্ষেত্রে জটিল সমস্যার সমাধান ও অজানা পথের সন্ধান মিলে সংলাপে। ইসলামী জীবনবোধ পারস্পরিক সংলাপ, পরামর্শ ও আলোচনার অনুপ্রেরণা দান করে। আল্লাহ্ বলেন, “তাদের সব কাজকর্ম নিজেদের পারস্পরিক পরামর্শক্রমে সম্পন্ন হয়” (সূরা : ৩৮)। আর পরামর্শ ও সংলাপ মহান আল্লাহ্র আদেশ ও প্রিয়নবীর (সা.) আদর্শ। মহান আল্লাহ্ বলেন, “যে কোনো কাজে তোমরা পারস্পরিক পরামর্শ কর” (আল-ইমরান : ১৫৯)। প্রিয়নবী (সা.) সবসময় পরামর্শের নীতি অবলম্বন করতেন। তাঁর নীতি হলো ‘তিনজনের উপস্থিতিতে দু’জনে পরামর্শ না করা’ এমন আদর্শ ও সংলাপের পথই ইসলামের বৈশিষ্ট্য।
ইসলাম জীবনের সবক্ষেত্রে ঐকমত্যকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। মুসলিম ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যকে পবিত্র কুরআনে ‘সীসা ঢালা প্রাচীর’ বা ‘বুনিয়ানুম মারসুস্’ বলা হয়েছে। হাদিসে এ চেতনাকেই ‘একদেহ’ ‘এক সৌধ’ ‘একই আদমের সন্তান’ তুল্য বলা হয়েছে। তাই ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থ বা গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের কারণে বৃহত্তর ঐক্যের বিনাশ সাধন ইসলামের শিক্ষা নয়। মহান আল্লাহ্ বলেন, “তোমরা আল্লাহ্র রজ্জুকে (বিধান ও রহমত) দৃঢ়তার সঙ্গে ধারণ কর, তোমরা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যেও না” (আল-ইমরান : ১০৩)।
ইউনেস্কোর ঘোষণা ও সনদের গুরুত্ব অনুধাবন করে আমাদের উচিত অনাচার অনৈক্য, বিশৃঙ্খলা পরিহার করে ইসলাম ও মুসলমানের সেবা ও স্বার্থসংরক্ষণে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ থাকা। কেননা, প্রিয়নবী (সা.) বলেন, “আমি নির্দেশ দিচ্ছি দলগত জীবন, নেতার আদেশ শ্রবণ ও আনুগত্যের.......” (ভাবানুবাদ : তিরমিজি)।
শুধু তাই নয় ইসলাম বিশ্বের শান্তিপ্রিয় ধর্মের মর্যাদায় অভিষিক্ত হওয়ার তাৎপর্য খুঁজতে গেলে আমাদেরকে জ্ঞানরাজ্যের আরো গভীরে যেতে হবে। হাজার হাজার বছর ধরে যাঁদের অবদানে আলোকিত আমাদের এ পৃথিবী তাঁদের শিক্ষা ও সংস্কার নিয়ে মাইকেল এইচ হার্টের অবিস্মরণীয় সংকলন ‘দি হানড্রেড’ গ্রন্থে শত মনীষীর তালিকার ‘এক নম্বর’ ব্যক্তিত্ব হলেন প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তাই ইউনেস্কোর ঘোষণা মূলত প্রিয়নবীর (সা.) মর্যাদাকে নিয়ে গেছে নতুন আরেক অনন্য উচ্চতায়।
ভক্তিময়তা ও ঈমানের দাবিতেই নয় সত্যের স্বীকৃতিতে অমুসলিম মনীষীগণও একমত হয়েছেন প্রিয়নবীর (সা.) উচ্চমর্যাদার ঘোষণায়, বস ওয়ার্থ স্মিথ বলেন, “ক্ষমতার উপকরণ ও আশ্রয় ছাড়া তিনি সর্ববিধ ক্ষমতায় ক্ষমতাসীন ছিলেন”। স্যার টমাস কারলাইল বলেন, “এই পুরুষবর মুহাম্মদ, আর মাত্র এক শতাব্দীÑ যেন একটি, মাত্র একটি অগ্নি স্ফুলিঙ্গ অনুমানের অযোগ্য তমাচ্ছন্ন বালুকাস্তূপে পতিত হলো। কিন্তু দেখ, এই বালির রাশি বিস্ফোরক বারুদে পরিণত হয়ে দিল্লি থেকে গ্রানাডা পর্যন্ত আকাশ প্রদীপ্ত করল”। স্বামী বিবেকানন্দ বলেনÑ “তার বাণী ছিল ‘সাম্য’.... সেই কার্য্যে পরিণত সাম্যই জয়যুক্ত হইল......”। আবার এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকায় বলা হয়েছে “মুহাম্মদ সকল মহাপুরুষ এবং ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের মধ্যে সর্বাপেক্ষা অধিক কৃতকার্য ব্যক্তি”।
পরিশেষে বলা যায়, ইউনেস্কো ঘোষণা ও সনদের পরও যারা না বুঝে, অন্যায়ভাবে বা অন্যের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে ইসলাম ও মুসলমান বিদ্বেষী আচরণে অভ্যস্থই থাকবেন তাদের জন্য নিবেদনÑ
“ওরা কাদা ছুড়ে বাধা দেবে ভাবেÑ ওদের অস্ত্র নিন্দাবাদ,
মোরা ফুল ছুড়ে মারির ওদের, বলিবÑ আল্লাহ্ জিন্দাবাদ”।।
(‘এক আল্লাহ্ জিন্দাবাদ’ : কাজী নজরুল ইসলাম)
ষ লেখক : বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ, গাজীপুর
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন