রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

যমুনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

আব্দুর রাজ্জাক বাবু, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৫ এএম

যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। জানা যায়, সিরাজগঞ্জের বেলকুচির সাদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের লাল মিয়া মেম্বর বড়ধুল ইউনিয়নের প্রভাবশালী মোল্লা গ্রুপ ও আকন্দ গ্রুপ ৫টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন বলে জানা যায়,

ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে সিরাজগঞ্জে বেলকুচি উপজেলার বড়ধুল ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন রমরমা বাণিজ্য চললেও এ ব্যাপারে প্রশাসন নীরব ভুমিকা পালন করছে বলে এলাকাবসীর অভিযোগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেলকুচি উপজেলার বড়ধুল ইউনিয়নের মেহেরনগর চর বড়ধুল যমুনা নদীতে প্রায় ৫টি ড্রেজার মেশিন নদীতে বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী বালু উত্তোলনকারী মোল্লা গ্রুপের হায়াত আলী মোল্লা, আল মামুদ মোল্লা, সিদ্দিক মোল্লা, জিন্নাহ মোল্লা, আবুল মোল্লা, সাকাত মোল্লা, বাবলু সরকার, আকন্দ গ্রুপের আ. হাকিম আকন্দ, আনোয়ার মাস্টার, লিটন, আমিরুল মাস্টার, হালিম উদ্দিন, নুর আলম, এদের নের্তৃত্বে লালমিয়া মেম্বর নদী থেকে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালু কেটে বিক্রি করছে বলে জানা যায়।
এতে বেশ কয়েকটি গ্রাম নদীতে ভেঙে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে চর এলাকার মানুষ জানায়। নদী তীরবর্তী গ্রাম চরবেল, মেহেরনগর, ক্ষীদ্রচাপরি, ভাঙাবাড়িসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে ভাঙনের হুমকির মুখে।
প্রশাসনিকভাবে কোন তৎপরতা না থাকায় নির্দিধায় বালু খেকোরা করে যাচ্ছে বালুর ব্যবসা। অবৈধ ড্রেজার মেশিন বন্ধের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান আছির উদ্দিন মোল্লাকে বার বার বলার পরও চেয়ারম্যান ড্রেজার বন্ধের কোন উদ্যোগ নেয়নি বলে জানান চর এলাকার ভুক্তভোগী মানুষ। এলাকাবাসী বলছেন ইউপি চেয়ারম্যান আছির উদ্দিন মোল্লার গ্রুপ এই বালু ব্যাবসার সাথে জড়িত থাকার কারণে ইউপি চেয়ারম্যান আছির উদ্দিন মোল্লা প্রশাসনের কাছে ড্রেজার বন্ধের আভিযোগ দিচ্ছেন না বলে মনে করেন তারা।
ঐ এলাকার আবুল মোল্লা, মোহাম্মাদ প্রামানিক, আব্দুল মালেক বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর তীর ভেঙে যাচ্ছে, কেহই তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না, আমরা অসহায় মানুষ, আমাদের কথা কে শোনে। তবে যত দ্রুত সম্ভব নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে বন্যা মৌসুমে তীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম নদী গর্ভে ভেঙে যাবে বলে আতংকে রয়েছেন চরের মানুষ।
এ বিষয়ে বড়ধুল ইউপি চেয়ারম্যান আছির উদ্দিন মোল্লা বলেন, ড্রেজারের সাথে আমার সম্পৃক্ততা নেই, নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা বন্ধ হোক এটাই আমি চাই।
বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমান বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান। তিনি আরও বলেন রাতে প্রশাসনের অগচরে ড্রেজার চালালে সেটার অভিযোগ পেলে রাতেই প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন