শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

বন্দরে ট্রাকের সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ

ভোমরায় কর্মবিরতি ও মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা থেকে | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে ট্রাকের সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। গত শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলে। এসময় ভোমরা জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক এজাজ আহমেদ স্বপন। বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী নেতা রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, সান্টু চৌধুরী, দীপঙ্কর ঘোষ, মিজানুর রহমান, আবু মুসা, শাহীনুর রহমান, হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের আরিফুজ্জামান বাবলু, তরিকুল ইসলাম, কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের নাসিরউদ্দীন, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ভোমরা শুল্ক স্টেশনে বিগত ৬ মাসে রাজস্ব ঘাটতি দাড়িয়েছে ১০৪ কোটি টাকা। ভোমরা বন্দর দিয়ে ৭৭টি পণ্যের মধ্যে মাত্র ২২টি কম শুল্কের পণ্য আমদানি করা হয়।
এর আগে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ফল আমদানি করা হতো। কিন্তু সিরিয়ালের নামে ভোমরার বিপরীতে ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে ট্রাক প্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আদায় করা হয়। যারা টাকা দিতে পারেন না, তাদের ট্রাক ২০ থেকে ৩০ দিন আটকে রাখা হয়। ফলে পচনশীল পণ্য আমদানিতে উৎসাহ হারাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
বক্তারা আরো বলেন, সব স্থলবন্দরের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা না দিলে ভোমরা স্থলবন্দরে ব্যবসা করতে পারবেন না ব্যবসায়ীরা। বেনাপোল ও সোনামসজিদ বন্দরে প্রতি ট্রাকে ৩ টন পণ্য ছাড় দেয়া হয়। আর ভোমরা স্থলবন্দরে মোটেও ছাড় দেয়া হয় না। ফলে ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ভোমরা স্থলবন্দর থেকে।
সভাপতির বক্তব্যে এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, ঘোজাডাঙ্গায় চাঁদাবাজির কারণে ভারত থেকে আনা আমদানিজাত পণ্যের মূল্য এদেশে বেড়ে যাচ্ছে। দেশের অন্যান্য বন্দরের তুলনায় এই বন্দরে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানিকারকরাও এ বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এর প্রভাবে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এই স্থলবন্দরটি মুখ থুবড়ে পড়বে।
এজাজ আহমেদ স্বপন আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু ফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অ্যাসোসিয়েশন ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত শনিবার ২ ঘণ্টা কর্মবিরতিসহ মানববন্ধন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি বন্ধে গতকাল রোববার তিনঘণ্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন এবং আজ সোমবার চারঘণ্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধনের কর্মসূচি রয়েছে।
এসব কর্মসূচিতেও যদি অবৈধ এই অর্থ আদায়ের ঘটনা বন্ধ না হয় তাহলে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন