‘করোনার জন্য স্কুল বন্ধ, পরিবারে অভাব, তাই ফুল বিক্রি করছি’ এক মুহূর্তেই বলে দিল ১০ বছরের ইয়াছিন মিয়া। দরিদ্র পিতার সাথে সেও তার ১২ বছরের বোন লুৎফা বেগম এক সাথে স্থানীয় দিরাই বাজারে ফুল বিক্রি করছে বলেও জানায়।
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের বুরহানপুর গ্রামের দরিদ্র দিলোয়ার হোসেনের ছেলে ইয়াছিন নিজের বাড়ির উৎপন্ন মিষ্টিলাউ গাছের ফুল বিক্রি করে অভাব-অনটনে থাকা পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে সহযোগিতা করছে।
যে বয়সে অন্য ছেলেদের সাথে স্কুলে যাওয়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও চিত্ত বিনোদনে থাকার কথা, সে বয়সে পিতার সাথে ধরেছে সংসারের হাল। বর্তমানে স্কুল বন্ধ থাকায় সেই সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে ইয়াছিনের মতো অসংখ্য ছোট্ট শিশুরাও।
সে আরও জানায়, নিজেদের বাড়ি নেই, চাচার বাড়িতে থাকে এবং তার পিতা চাচার বাড়িতে শ্রমিক হিসেবে কৃষি কাজ করছে। তার মা জাকিরুন বেগমও সংসারের কাজ সামলে নিয়ে সবজি করার পাশাপাশি বিভিন্ন বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে। তাদের পরিবারে মা-বাবা, ২ ভাই ও ২ বোনসহ ৬ জনের সংসার। তাই বাধ্য হয়েই তাদের মা সুযোগ করে তাদেরকে দিরাই বাজারে পাঠিয়ে দেয় মিষ্টি লাউয়ের ফুল বিক্রি করতে।
ইয়াছিন আরও জানায়, বাড়ি থেকে অনেক দূরে স্কুল হওয়ায় তারা নিয়মিত যায় না। সে ভাঙ্গাডহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও তার বোন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন