ভোলার দৌলতখানে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে জ্বর, সর্দি ও কাশি। শিশু ও বয়স্করা এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, গত এক সপ্তাহে এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে দৌলতখান হাসপাতালে দুই শতাধিক শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে দৌলতখান হাসপাতালে প্রতিদিন বহির্বিভাগে ১৫০ থেকে ২০০ জন শিশু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ছাড়াও হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ৩০ জন শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে।’.
হঠাৎ করে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওযায় দৌলতখান হাসপাতালে শিশু রোগীদের চাপে চিকিৎসা দিতে হিমশিমে পড়েছেন চিকিৎসকরা। এবার তীব্র শীতে মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে। এতে মানুষের রোগ-বালাই বাড়তে থাকে। অনেকে অসুস্থ হয়ে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছে, আবার অকেউ কেউ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। অবশ্য এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। বর্তমানে দৌলতখান হাসপাতালে ভর্তি শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি। এদের অধিকাংশই জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত।’.
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের গৃহবধূ শারমিন বেগম জানান, তার দুই মাস বয়সী মেয়ে মিম ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়। পরে জ¦র দেখা দিলে তাকে নিয়ে তিনদিন ধরে হাসপতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দৌলতখান পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গৃহবধূ লাইজু তার ৫ মাস বয়সী মেয়ে হালিমাকে নিয়ে ছয়দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সে ডায়রিয়ায় রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মত বেশ কয়েকজন অভিভাবক তাদের অসুস্থ সন্তানদের নিয়ে হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’.
এ ব্যাপারে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান আবহাওয়ায় মাঝে মাঝে তীব্র শীত, আবার গরম অনুভূত হচ্ছে। এ কারণে শিশুরা বেশি রোগাক্রান্ত হচ্ছে। শীত বেশি পড়লে শিশুকে গরম কাপড় বেশি পরাতে হবে। আবার গরম থাকলে পাতলা কাপড় পরাতে হবে, যাতে শিশুর ঠাণ্ডা বা গরম না লাগে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ রয়েছে। শিশু রোগীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে।’.
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন