চরফ্যাশন উপজেলার আহম্মদপুরের ফরিবাদ গ্রামে বাল্যবিয়ে দিতে ছেলের পক্ষকে চাপ প্রয়োগ। বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ১ জনকে আটক গতকাল সোমবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদাবাদ গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের মৃত জামাল হোসেনের পুত্র রুবেল (২২) এর সাথে একই এলাকার তাজল ইসলামের ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যার সাথে বিয়ের দেয়ার চেষ্টা চালায়। এতে রুবেল মেয়ের বয়স হয়নি বলে অস্বীকৃতি জানায়। স্থানীয় সেলিম ও মেয়ের পিতা বিয়ের জন্যে হুমকি ধমকি দিয়ে বেড়ায়। এতে রুবেল বাদী হয়ে নিরাপত্তা চেয়ে মেয়ের পিতা ও সেলিমসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে চরফ্যাশন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার নোটিশ আসামিদের বাড়িতে পৌঁছলে ক্ষিপ্ত হয় মেয়ের পরিবার। মেয়ের পিতা তাজল ইসলাম বাদী হয়ে গত ২৯ জানুয়াারি রুবেল (২২) ভাই রিয়াজ (২৮) চাচা ইদ্রিস মাঝিসহ ৪ জনকে আসামি করে দুলারহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মো. রিয়াজকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। চৌমহনী এমডি দাখিল মাদরাসার সুপার আ.খ. ম. মফিজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রত্যেয়নপত্রে জানা যায়, মেয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী, তার জন্মতারিখ ৩ অক্টোবর ২০০৯ইং। এতে প্রমাণ করে উক্ত ছাত্রীর বিয়ের বয়স হয়নি।
এক মামলার বাদী ও অন্য মামলার ১নং আসামি মো. রুবেল বলেন, আমি নির্দোষ আমাকে ফাঁসানোর জন্যে মেয়ের পিতাসহ সমাজপ্রতিরা হুমকি ধমকি দিচ্ছে। তাই আমি নিরাপত্তা চেয়ে চরফ্যাশন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা করছি। আমি আদালতের কাছে সঠিক বিচার চাই?
দুলারহাট থানার ওসি মোরাদ হোসেন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। ২ নম্বার আসামিকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন