চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ৫ জন নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মুন্সি বাড়ি ডাকাতিয়া নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রলারে থাকা ১১ শ্রমিকের মধ্যে ছয়জন প্রাণে বেঁচে যান। নিহতরা হলেন- আউয়াল মাঝি, মোবারক হোসেন, নাছির হোসেন, আলামিন ও কালা মিয়া। নিহতদের সবার বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলায়। তারা চাঁদপুরে স্থানীয় ব্রিকফিল্ডগুলোতে মাটি কাটার শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া ট্রলারের শ্রমিক ফরিদ হোসেন জানান, আমরা মাটিভর্তি ট্রলার নিয়ে যাচ্ছিলাম। মমিনপুর এলাকায় পার হবার সময় ঘনকুয়াশার কারণে উল্টো দিক থেকে আসা এমবি ইকবাল হোসেন-১ নামে একটি বালুবাহী বাল্কহেড আমাদের ট্রলারকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে আমাদের ট্রলারটি পানিতে ডুবে যায় এবং ট্রলারের থাকা আমাদের ১১ জন যাত্রীর মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এদিকে ঘন কুয়াশায় বাল্কহেড চলাচলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও এলাকাবাসী। নৌপথে রাতে ও ঘন কুয়াশায় বাল্কহেড চলাচলের ওপর বিআইডব্লিউটিএ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ মালিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই প্রতিনিয়ত চাঁদপুরের বিভিন্ন নৌপথে চালাচ্ছেন তাদের নৌযান। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, সকালে রামপুর চর থেকে মাটিবোঝাই একটি ট্রলার বাগাদী হয়ে মৈশাদী এলাকায় যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বাগাদী মমিনপুর ডাকাতিয়া নদী অতিক্রমকালে বিপরীত থেকে আসা বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ওই সময় ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে ট্রলারে থাকা ৫ জন নিহত হয়। এদের মধ্যে একজন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
চাঁদপুর নৌপুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান জানান, আমরা বালুবাহী বাল্কহেড আটক করেছি। বাল্কহেডের সুকানিসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হবে। এছাড়া তদন্তের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন