হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার রসুলগঞ্জ বাজারে একটি বাসা থেকে রাজনা বেগম (১৯) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামীর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। গত সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজারে সফিক মিয়ার মালিকানাধীন বাসা থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার কর হয়। নিহত রাজনা বেগম ওই ইউনিয়নের বড় আলীপুর গ্রামের জাকারিয়া মিয়ার স্ত্রী ও পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামের মৃত আ. রহিমের মেয়ে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত প্রায় ৬ মাস পূর্বে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড় আলীপুর গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া মিয়ার সাথে পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামের মৃত আ. রহিমের মেয়ে রাজনা বেগমের বিয়ে হয়। এরপর থেকে জাকারিয়া ও রাজনা একসাথে সংসার করে আসছিলেন। গত ১০-১২ দিন পূর্বে রসুলগঞ্জ বাজারের সফিক মিয়ার মালিকানাধীন একটি বাসা ভাড়া নেন জাকারিয়া মিয়া ও তার স্ত্রী রাজনা বেগম। এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রী ওই বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।
গত সোমবার বিকালে রাজনা বেগমের মা রাজনাকে দেখতে ওই ভাড়া বাসায় যান। এসময় তাদের বসবাসরত কক্ষের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করেন। এক পর্যায়ে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে মেয়ের রক্তাক্ত দেহ বিছনার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় তার চিৎকারে আশাপাশের লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিজ কক্ষের বিছনার ওপর থেকে গলাকাটা অবস্থায় রাজনা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় একটি রক্তমাখা বটি দা উদ্ধার করা হয়। এঘটনার পর থেকে রাজনা বেগমের স্বামী জাকারিয়া মিয়ার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা। এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. ডালিম আহমেদ নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর নিহতের স্বামী জাকারিয়া মিয়া খোঁজ করার চেষ্টা করা হলে জাকারিয়াকে পাওয়া যায়নি। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি, কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে এনিয়ে আমরা কাজ করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন