কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় দফা শৈত্য প্রবাহের কবলে পরেছে এ জনপদের মানুষ। এরই মধ্যে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। এই অবস্থায় জেলার একমাত্র আবহাওয়া তথ্য কেন্দ্র ‘রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসে’ চলছে তুঘলকী কাণ্ড।
জানা যায়, সদ্য যোগদানকৃত অফিস ইনচার্জ মো. আনিছুর রহমান ঠিকমতো অফিস করছেন না। অফিস থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা থেকে প্রতিদিন অফিস করায় তিনি মানছেন না অফিসের সময় ও নিয়ম কানুন। প্রতিদিন দেরী করে আসছেন আবার অফিস টাইমের আগে বিভিন্ন অজুহাতে চলে যাচ্ছেন। তার এ আচরণের কারণে সঠিক সময়ে তথ্য পাচ্ছে না গণমাধ্যমকর্মীসহ ভুক্তভোগীরা। গত চারদিন ধরে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির নিচে অবস্থান করছে। এ সময় তার মোবাইলে গত ৪দিন ধরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তার অসহযোগিতার ফলে অফিস কর্মচারীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে তথ্য। তার এ আচরণের ফলে ক্ষুব্ধ অফিস কর্মচারীরাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান, উনি ঠিক সময়ে অফিস আসেন না। কারো সাথে ঠিক মতো যোগাযোগ করেন না। তার অসহযোগিতার ফলে অফিসের দুর্নাম হয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু বলেন, তথ্য পাওয়ার অধিকার সবার আছে। একজন কর্মকর্তা যদি ফোন রিসিভ না করেন যোগাযোগ রাখতে না চান তাহলে মানুষ কার কাছ থেকে তথ্য পাবে। প্রশাসনের উচিৎ এ ধরণের কর্মকর্তাদের বিষয়ে খোঁজখবর রাখার।
সদ্য নীলফামারী জেলার ডিমলায় বদলীকৃত সাবেক কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, ইনচার্জ আনিছুর রহমান গত ২০ জানুয়ারি রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসে যোগদান করেছেন। তাকে কাগজপত্র বুঝিয়ে দিয়ে আমি ডিমলায় চলে এসেছি।
এ ব্যাপারে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আনিছুর রহমানের মোবাইলে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন