আমেরিকা, ক্যানাডা-সহ একাধিক ইউরোপের দেশ আগেই বেইজিং অলিম্পিক বয়কট করেছিল। তবে জার্মানি বয়কট করছে কি না, তা স্পষ্ট করেননি চ্যান্সেলর।
সম্প্রতি জেডডিএফ সংবাদমাধ্যমকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শোলৎস। সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়, বেইজিংয়ে যে শীতকালীন অলিম্পিক শুরু হচ্ছে তাতে তিনি যোগ দেবেন কি না। শোলৎস বলেছেন, ''আপাতত কোথাও যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। ফলে আলাদা করে বেইজিং অলিম্পিকে যোগ দেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।''
কিন্তু কেন তিনি যোগ দেবেন না, তা স্পষ্ট করেননি চ্যান্সেলর। এর আগে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফায়জার জানিয়েছিলেন ব্যক্তিগত কারণে তারা বেইজিং অলিম্পিকে যোগ দেবেন না। কিন্তু তারাও প্রশাসনিক কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানাননি।
বেইজিং অলিম্পিক নিয়ে কূটনৈতিক মহলে বেশ কিছু দিন ধরেই নানা আলোচনা চলছে। আমেরিকা প্রথম জানিয়েছিল, বেইজিং অলিম্পিকে মার্কিন অ্যাথলিটরা যোগ দিলেও প্রশাসনের কোনো কর্তা সেখানে অংশ নেবেন না। কূটনৈতিকভাবে অ্যামেরিকা অলিম্পিক বয়কট করছে।
এরপর একে একে ক্যানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াও একই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। সম্প্রতি ডেনমার্ক এবং নেদারল্যান্ডসও একই কথা জানিয়েছে। সরকারিভাবে জার্মানি কোনো অবস্থানের কথা জানায়নি। সকলেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বেইজিং অলিম্পিকে যোগ দেবেন না বলে জানাচ্ছেন।
চীনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পশ্চিমা দেশগুলির। বিশেষ করে উইগুর মুসলিমদের উপর চীন অত্যাচার চালাচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই সরব পশ্চিমা দেশগুলি। সে কারণেই কূটনৈতিক দিক থেকে অলিম্পিক বয়কট করছে অধিকাংশ দেশ। সূত্র: এএফপি, ডিপিএ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন