টোকিও অলিম্পিকে অংশ নিতে পারলে মনে রাখার মতো এক অর্জনের দেখা পেতেন কোকো গফ। ২০০০ সিডনি অলিম্পিকের পর সর্বকনিষ্ঠ টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে টোকিও অলিম্পিকে খেলতেন তিনি। কিন্তু ১৭ বছর বয়সী এই মার্কিনির কপাল খারাপ। কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় এবারের অলিম্পিকে অংশ নেওয়া হচ্ছে না কোকো গফের। পরশু তিনি নিজেই জানান এ খবর।
মেয়েদের একক ও দ্বৈত ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল কোকো গফের। সরে দাঁড়ানোর খবর তিনি জানান টুইটারে, ‘খুব হতাশার সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি কোভিড পরীক্ষায় পজিটিভ হয়েছি। এ কারণে টোকিও অলিম্পিকে অংশ নিতে পারছি না। অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখে এসেছি। আশা করি এই স্বপ্ন পূরণ করার সুযোগ আসবে ভবিষ্যতে।’
টেনিস বিশ্বের বড় বড় তারকারা এবার টোকিও অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছেন না। রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল, সেরেনা উইলিয়ামস, সিমোনা হালেপ, স্তানিস্লাস ভাভরিঙ্কা, ডমিনিক থিম, নিক কিরিওসরা নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন টোকিও অলিম্পিক থেকে। এর পেছনে রয়েছে চোট এবং করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ভীতি। সে তালিকায় যোগ হলেন কোকো গফও। সর্বশেষ উইম্বলডনে শেষ ষোলোয় বাদ পড়েছিলেন তিনি।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার টেনিস খেলোয়াড় অ্যালেক্স ডি মিনাউর টোকিও অলিম্পিকের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষায় পজিটিভ হন। এর দুই দিন পর নিজের সংক্রমিত হওয়ার খবর জানান কোকো গাফ। যুক্তরাষ্ট্রের ১২ সদস্যের টেনিস দলের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল তার। গত ২৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম উইলিয়ামস বোনদের কাউকে ছাড়াই অলিম্পিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির টেনিস ফেডারেশন জানিয়েছে, ‘কোকোর খবরে হৃদয় ভেঙে গেছে পুরো টেনিস বহরের।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন