সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্ত্রীর দেয়া যৌতুক মামলায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অসহায় গরীব প্রতিবন্ধী স্বামী মো. ইয়াসিন আলী সরকার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের টাগড়া গ্রামে। প্রতিবন্ধী মো. ইয়াসিন আলী সরকার জানান, শ্বশুড় মো. ফরহাদ আলী ও শাশুড়ী মোছা. রাশেদা খাতুন স্ত্রী ফাতেমাকে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে দিয়ে আদালতে মিথ্যা যৌতুক মামলা দায়ের করেছেন। মামলার খরচ চালাতে এখন আমি দিশেহারা।
জানা যায়, উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের টাগড়া গ্রামের মো. আবুল হোসেনের প্রতিবন্ধী ছেলে মো. ইয়াসিন আলীকে তালম ইউনিয়নের চক-কোলামূলা গ্রামের মো. ফরহাদ আলীর মেয়ে ফাতেমার সাথে ২০১৮ সালে ৩ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়। বিয়ের ৪ বছরের মাথায় তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। গত বছর ১৯ ডিসেম্বর ইয়াসিনের শ্বশুর ফরহাদ আলী ও শাশুরি মোছা. রাশেদা খাতুন মিলে জামাই ইয়াসিনের বাড়ি থেকে মেয়ে ফাতেমাকে নাইওর নেয়ার কথা বলে বাড়িতে নিয়ে যান। কয়দিন পর স্ত্রী ফাতেমাকে শশুড় বাড়ি থেকে আনতে গেলে স্ত্রীকে পাঠায় না।
তারপর ৩১ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ আদালতে স্বামী মো. ইয়াসিন সরকার, ভাসুর মো. ইসরাফিল সরকার, মো. ইব্রাহিম সরকার ও আব্দুল মান্নানের বিরূদ্ধে যৌতুক আইনে মামলা করেন। ওই মিথ্যা যৌতুক মামলায় ইয়াসিনের পুরো পরিবার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
ইয়াসিনের শশুর মো. ফরহাদ আলী বলেন, আমার মেয়েকে যৌতুকের দাবিতে মারপিট করে আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। অনেক দেন দরবার করেও কোন সমাধানে না আসায় মেয়ে আদালতে মামলা করে।
এ ব্যাপারে উপজেলার তালম ইউপি চেয়ারশ্যান মো. আব্দুল খালেক বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তাদের দু’পক্ষকে ডেকে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন